ইস্কন মায়াপুরে পুনঃ রথযাত্রা, উপস্থিত দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মহাসমারোহে পালিত হলো ইস্কন মায়াপুরে পুনঃ রথযাত্রা, উপস্থিত দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত।

প্রতিবছর মহাসমারোহে দেশ জুড়ে পালিত হয় রথ যাত্রা উৎসব।

ইস্কনের প্রধান কার্যালয় নবদ্বীপ মায়াপুরেও প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয় এই রথ যাত্রা উৎসব

আর এই রথ যাত্রা উৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের তরফেও থাকে কড়া নজরদারি,

পাশাপাশি এই উৎসবকে ঘিরে দেশ বিদেশের থেকেও আগমন ঘটে অসংখ্য ভক্তের।
এবছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি,

গত ২০শে জুন রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রভু জগন্নাথ দেব মাতা শুভদ্রা ও প্রভু বলভদ্র নিজ বাড়ি থেকে এসেছিল ইস্কনের চন্দ্রদয় মন্দির বা গুন্ডিচা মন্দির তথা অস্থায়ী মাসি বাড়ি।

আর এখানেই প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সহ ছাপ্পান্ন ভোগের আয়োজন।

২৮ শে জুন বুধবার অনুষ্ঠিত হলো প্রভু জগন্নাথ দেবের পুনঃ রথযাত্রা উৎসব।

এদিনও সকাল থেকেই ইস্কন চন্দ্রোদয় মন্দিরে শুরু হয় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সহ বিশেষ পুজা-অর্চনার।

সকাল থেকেই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্ত সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।

শুধু স্থানীয় নয়, দেশ বিদেশের বহু ভক্ত সকাল থেকেই এই পুনঃ রথযাত্রা উৎসবকে ঘিরে ইস্কন চন্দ্রোদয মন্দিরে ভিড় জমাতে শুরু করে।

ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রশিক গৌরাঙ্গ দাস জানায় প্রতিবছর রথ যাত্রা ও পুনঃ রথযাত্রা উৎসব ইস্কনের প্রধান কার্যালয় মায়াপুর সহ ইস্কনের পরিচালনায় দেশের শতাধিক জায়গায় যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়।
আর সর্বত্রই এই উৎসব কে ঘিরে সমাগম হয় দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত।

পাশাপাশি তিনি জানান প্রভু জগন্নাথ দেবের কৃপায় বর্তমানে ইস্কনের এই রথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রশান্ত পল্লী – রাজাপুর আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন বিশ্বের১০০ দেশের প্রায় ৮০০ বড়ো শহরে ইস্কনের তত্বাবধানে রথ যাত্রা পালন করা হয়।

এছাড়াও এবছরও পুরি থেকে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রাদেবীর রথের তিনটি চাকা আনা হয়েছ, এবং তা সকলের জন্য দর্শন ও শ্পর্শনের জন্য অস্থায়ী মাসির বাড়িতে রাখা আছে,।

বুধবার দুপুর আনুমানিক দু-টোয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে তিনটি পৃথক সুসজ্জিত রথে প্রভু জগন্নাথ দেব, মাতা সুভদ্রা ও প্রভু বলভদ্র নিয়ে নাম সংকির্তনের মাধ্যমে ভক্তরা রওয়া দেয় রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *