বিনা কারণে গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন বিজেপি বিধায়করা।

কোচবিহার: দলের প্রার্থীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন বিজেপি বিধায়করা। শুক্রবার কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরের গেটে ধর্নায় বসেছেন ছয় বিধায়ক। উপস্থিত রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়, মিহির গোস্বামী, মালতী রাভা, সুশীল বর্মন, নিখিল রঞ্জন দে এবং বরেনচন্দ্র বর্মন। পুলিশ ও তৃণমূল একযোগে কোচবিহারে সন্ত্রাস করছে বলে অভিযোগ তাঁদের। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে,কোচবিহার যেন সন্ত্রাসের আঁতুরঘর। একের পর এক গুলি। বোমা। প্রাণহানি। ঝরছে রক্ত। সমানে লেগে রয়েছে বিজেপি-তৃণমূল দ্বৈরথ। কেউ কাউকে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে উভয় দলই একে অপরের বিরুদ্ধে সমানে অভিযোগ তুলে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ৫ বছরের পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থীকে। এনিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। বিজেপি অভিযোগ করেছে, হেরে যাবে বুঝেই তৃণমূলের ইন্ধনে পুলিশ অতি সক্রিয়। যদিও আইন মেনেই পুলিশ পদক্ষেপ করেছে বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূলও। ধৃত বিজেপি প্রার্থীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে দিনহাটা মহকুমা আদালত। তারপরেই আজ জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে ধর্নায় বসে বিজেপির ৬ বিধায়ক।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসার পর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কী বৈঠক হয়েছে? তারপরেই তারা বেছে বেছে বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, প্রার্থীদের বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে।’ এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদেই আজ এই ধর্না বলে জানিয়েছেন বিধায়করা। একইসঙ্গে তাঁদের হুমকি, এক ঘণ্টার মধ্যে কোচবিহার অচল করে দিতে পারেন তাঁরা। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাঁরা এই কাজ করছে না। সেদিন পুলিশ সুপারের কাছে কোনও সদুত্তর না পেলে তাঁরা বড়সড়ো আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *