বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের গোকরুল জুনিয়র হাই স্কুল অকারণে স্কুল বন্ধ রাখায় ক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- নানান অজুহাতে এবং অকারণে স্কুল বন্ধ রাখায় ক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের গোকরুল জুনিয়র হাই স্কুলের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় দিনই এই স্কুল বন্ধ থাকে এবং শিক্ষকরাও আসেন অনিয়মিত ভাবে। সময়ের কোনো তোয়াক্কা না করেই স্কুলে আসেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি এই স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা সরস্বতী পূজাও হয় না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এই জুনিয়ার হাই স্কুলে ৩ জন স্থায়ী শিক্ষক এবং ২ অতিথি শিক্ষক নিয়ে ৫ জন শিক্ষক ও ৬৯ জন স্কুল পড়ুয়া থাকলেও মাত্র একজন শিক্ষক সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন। আজ দুপুরে দুবরাজপুরের গোকরুল জুনিয়ার হাই স্কুলে গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন স্কুলের দরজা গুলিতে তালা ঝুলছে। নেই কোন পড়ুয়া বা শিক্ষক। আর এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। কি কারনে হঠাৎ স্কুল ছুটি জানতে চান এলাকাবাসীরা। কেন মাঝেমধ্যে ছুটি থাকে? পড়াশোনা কি হয় এই স্কুলে প্রশ্ন তোলেন তারা? ডেকে পাঠানো হয় স্কুলের টিচার ইনচার্জ অনুপ কুমার মণ্ডলকে। দুপুর ১ টার পর স্কুলে আসেন টিচার ইনচার্জ। তিনি এসেই জানান, এটা লোকাল ছুটি দেওয়া হয়েছে, যদিও গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে তিনি বলতে পারেননি ঠিক কি কারণে আজ লোকাল ছুটি। তবে টিচার ইনচার্জ অনুপ কুমার মন্ডল গ্রামবাসীদের জানান, আমার ভুল হয়েছে, এরকম আর হবে না। যদিও তিনি ডি.আই অফিসের নানান কাজের অজুহাত দিচ্ছেন এবং প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চাইছেন। অথচ এলাকার বাসিন্দারা চাইছেন এই স্কুল যাতে প্রত্যেকদিন খোলা রাখা হয় ছুটির দিন ব্যতীত, সময় মত শিক্ষকরা আসুন যাতে এলাকার ছেলেমেয়েরা এখান থেকে শিক্ষা দান করতে পারে। হুটহাট করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া বা দীর্ঘদিন ধরে টিচার ইনচার্জ সময়ে আসেন না বা যখন তখন স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া এসব চলতে পারে না। এরপর যদি ঠিক সময় সব কিছু না চলে তাহলে আগামী দিন বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে জানান গ্রামবাসীরা। গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে পড়তে চাইছে না। কারণ ভালো পড়াশোনা হয় না বলে। কেন গ্রামের ছেলে মেয়েরা বাইরের স্কুলে পড়বে এই প্রশ্নই তোলেন গ্রামবাসীরা। অথচ ওই জুনিয়ার হাই স্কুল চত্বরে রয়েছে একটা প্রাইমারি স্কুল। সেই স্কুল চলছে ঠিকঠাক। প্রাইমারি স্কুল খোলা থাকলেও জুনিয়ার হাই স্কুল কেন ছুটি থাকবে এই প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *