মাজদিয়ার চপ বিক্রেতা শম্ভু মোদক নিয়ে এলেন মিষ্টি লঙ্কার চপ।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  চপের সঙ্গে বাঙালি সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সন্ধ্যেবেলা টিফিন হোক কিম্বা চায়ের সঙ্গে আড্ডা চপের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ধরনের চপের নাম উল্লেখ রয়েছে। চপ সাধারণত কমবেশি সকলেই আমরা খেতে ভালবাসি। শরীরের পক্ষে খুব বেশি উপকার না হলেও ভোজন রসিকদের কাছে চপ কিন্তু একটি অন্যতম লোভনীয় বস্তু। তবে যুগের সঙ্গে সঙ্গে চপেরও বিবর্তন ঘটেছে। আগে চপ বলতে কেবল আলুর চপ ফুলুরি বেগুনি পেঁয়াজি ইত্যাদির সঙ্গেই মানুষ পরিচিত ছিল। তবে ধীরে ধীরে একের পর এক নানান ধরনের চপের আবির্ভাব ঘটছে। এবং সেগুলি খেতেও ভিড় জমাচ্ছেন তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে বৃদ্ধজনেরাও।

ঠিক তেমনই এক অভিনব চপ নিয়ে এল মাজিয়ার যুবক শম্ভু মোদক। তিনি বিক্রি করছেন মিষ্টি লঙ্কার চপ। সাধারণত এই লঙ্কাগুলি তুলনামূলকভাবে ঝাল অনেকটাই। এই লঙ্কাগুলি সিমলা মির্চ নামে পরিচিত বাজারে। আর এই লঙ্কা দিয়েই সব বিক্রেতা শম্ভু মোদক বানিয়েছেন মিষ্টি লঙ্কার চপ। তিনি জানান শিয়ালদহ থেকে তিনি এই লঙ্কা পাইকারি হারে কিনে আনেন। এরপর বাড়িতে এসে সেগুলিকে ভালো করে পরিষ্কার করে লম্বালম্বি ভাবে দু’টুকরো করে ফেলেন লঙ্কাগুলিকে। এরপর তার মধ্যে ভরেন আলু এবং অন্যান্য মশলা দিয়ে পুর। তারপর সেগুলিকে বেসনে ডুবিয়ে গরম তেলে ছেড়ে ভাজা হয় সেই চপ। আর সেই মিষ্টি লঙ্কার চপ খেতেই হিড়িক লেগেছে ক্রেতাদের।

তিনি জানান, “যারা একটু ঝাল পছন্দ করেন তারাই সাধারণত লঙ্কা খান। তবে এই মিষ্টি লঙ্কাটি ছোট, বড় সকলেই খেতে পারেন অনায়াসে। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ পিস মিষ্টি লঙ্কার চপ বিক্রি হয়। লঙ্কাটি দেখার এবং খাওয়ার জন্য দোকানে ভিড় করেন অনেকেই। ৮০ থেকে ১৩০ টাকা কিলো দরে এই লঙ্কা কিনে এনে এরপর একটি লঙ্কাকে দুটো করে পাঁচ টাকা প্রতি পিসে এই চপ বিক্রি করি।”

সন্ধ্যা হতেই দেখা গেল মিষ্টি লঙ্কার চপ খেতে ভিড় করেছেন ক্রেতারা। সুতরাং বলা যেতেই পারে লঙ্কার প্রতি এতদিন যাদের ভয় ছিল তারাও অনায়াসে একবার চেখে দেখতেই পারেন এই মিষ্টি লঙ্কার চপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *