পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ – বিরলতম চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করিয়ে চিকিৎসা জগৎ কে তাক লাগিয়ে দিলো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক। বর্ধমান মেডিকেলের দাবি, এই চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে গর্ভস্থ শিশুকে বাঁচিয়ে রাখার ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। কেন এই দাবি? মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষের দাবি, জরায়ুতে একটি বাচ্ছার মৃত্যু হয়। তারপর অন্য একটি বাচ্ছার জন্ম দেওয়াটা খুবই ঝুঁকির হয়ে যায়। কারণ, এই সময়ে সংক্রমণের ব্যাপক ভয় থাকে। তারপর বাচ্ছাটিকে পরিনত হওয়ার সময়ও লাগে। তাই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই অসাধ্যসাধন করেছে মেডিক্যাল। ১১ জুলাই ভর্তি রোগী সফলভাবে সন্তান প্রসব করেন ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবসের দিন। সিজার করে শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখান চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে একইভাবে টেস্ট টিউবে মা হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তাঁর পেটে আসে যমজ বচ্ছা। কিন্তু, অন্তঃস্বত্তার ১৭ সপ্তাহে জুলাই মাসের ১১ তারিখ রক্তক্ষরণ নিয়ে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। গাইনি বিভাগে পরদিন অর্থাৎ ১২ তারিখ একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর পরস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। পেটে দ্বিতীয় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েন চিকিৎসকরা। কিন্তু, তাঁরা হাল ছাড়েন নি। টানা ১২৫ দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে। এরপর ১২৬ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার তিনি যমজ বাচ্ছার দ্বিতীয়টির জন্ম দেন। বাচ্ছাটির ওজন ২ কেজী ৯০৬ গ্রাম। মা এবং বাচ্ছা দুজনেই সুস্থ রয়েছে।
এই অস্ত্রোপচারের গোটা প্রক্রিয়ায় টি ১০জন চিকিৎসকদের একটি দল করে।
Leave a Reply