পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর গ্রামের ব্যানার্জি পরিবারের জগদ্ধাত্রী পূজা।

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-সারা বাংলায় জগদ্ধাত্রী পূজার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পর জগদ্ধাত্রী পূজা উদযাপিত হয়। কার্তিক মাসে পালিত এই পূজায় দেবী জগদ্ধাত্রী চার হাতে বিভিন্ন অস্ত্র বহন করেন। সিংহের পিঠে চড়ে দেবীর মূর্তিগুলো জায়গায় জায়গায় প্যান্ডেল শোভা পায়।বাংলার আনাচে কানাচে বহু বনেদী বাড়িতেও কয়েক শতক ধরে পূজিত হচ্ছেন মা জগদ্ধাত্রী। বনেদি বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোয় রয়েছে কিছু অলৌকিক ঘটনা ও জড়িয়ে আছে এই জগদ্ধাত্রী পূজোর ইতিহাস। সেই রকমই ব্যানার্জি পরিবারেও বহু বছর ধরে পুজিত হয়ে আসছেন মা জগদ্ধাত্রী। পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর গ্রামে এই ব্যানার্জি পরিবার বহুদিন কার বাসিন্দা। বর্ধমানের রাজার ডাক্তার ছিলে অন্নদাশঙ্কর মুখোপাধ্যায় তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু করেছিলেন মা জগদ্ধাত্রী পুজো। তারপর বিগত ৩০০ বছর ধরে অন্নদাশঙ্কর মুখোপাধ্যায় উত্তরাধিকারী হিসাবে ব্যানার্জি পরিবার এই জগদ্ধাত্রী পুজো করে আসছে। শুধুমাত্র ব্যানার্জি পরিবার নয় বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ ও সামিল হন এই জগদ্ধাত্রী পুজোয়। রয়েছে বলি প্রথা কিন্তু পশুবলির প্রথা নেই। ভোগের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে এই জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য। নবমীর সন্ধ্যায় গ্রামবাসীদের জন্য অন্নকূটের ব্যবস্থা করা হয়। পরিবারের প্রবীণ থেকে নবীন সকলেই হাজির হন এই জগদ্ধাত্রী পুজোর। বাড়ির মহিলারা সমবেত হয়ে মায়ের ভোগের বিশেষ ব্যবস্থা করেন।এই ব্যানার্জি পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য জয়দেব ব্যানার্জি বলেন, বিগত ৩০০বছর ধরে আমাদের এই পরিবার জগদ্ধাত্রী পূজা করে আসছে। আজ সপ্তমী,অষ্টমী ও নবমীর পুজো একসঙ্গে করা হবে। অন্নদাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের উত্তরাধিকারী হিসাবে আমরা এই পুজো করে আসছি। যেহেতু প্রয়াত অন্নদাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের দুই কন্যা সন্তান ছিল। আজ সন্ধ্যায় গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য আমরা অন্ন কূটের ব্যবস্থা করে থাকি প্রতি বছর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *