সূচনা—-
সিনেমা প্রিয় বাঙালির কছে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় এক অতি পরিচিত নাম। অসাধারণ ও সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা, যিনি মূলত বাংলা ভাষায় অভিনয় করতেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর কিছু অভিনয় অজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। আজ তাঁর জন্মদিবসে জানব তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা।
বাক্তিগত জীবন—
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ২৯ নভেম্বর ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শুভেন্দুর বাবা শৈলেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মা মণিমালা দেবী। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে এমবিবিএস পাস করেন। প্রথমে সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন এবং তারপর কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে যোগ দেন। চিকিৎসক জীবন ছেড়ে রুপালি পর্দায় আসেন তিনি। প্রখ্যাত অভিনেতা জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিনয় শিক্ষা। অংশ নিয়েছিলেন IPTA মুভমেন্টেও। সত্যজিৎ রায়ের ‘চিড়িয়াখানা’ ছবির শুটিং চলাকালীন উত্তম কুমারের হার্টের সমস্যা দেখা দিলে শুভেন্দু ছিলেন প্রাথমিক নার্স। এবং তার পরামর্শে অবিলম্বে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। সেই যাত্রায় বেঁচে যান উত্তমকুমার।
তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা সমূহ—
চৌরঙ্গী, আরোগ্য নিকেতন, অরণ্যের দিনরাত্রি, রাজনন্দিনী, অমর সঙ্গী, কাঁচ কাটা হীরে, আকাশ কুসুম, চিড়িয়াখানা, হংসমিথুন, একান্ত আপন, গণশত্রু, আশা ও ভালবাসা, কুহেলি, ছদ্মবেশী, অনিন্দিতা, কোরাস, আপন পর, জামাইবাবু, মনের মানুষ, দহন, ভালবাসা, লাল দরজা, কাঞ্চনমালা, দেশ, আমার মায়ের শপথ, আবর অরণ্যে।
পুরস্কার ও সম্মননা—
আনন্দলোক পুরস্কার: সেরা অভিনেতা – ১৯৯৮ (লাল দরজা চলচ্চিত্র)।
প্রয়াণ—
৫ জুলাই ২০০৭ সালে তিনি প্রয়াত হন।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।
Leave a Reply