মল্লরাজাদের তৈরি রোমাঞ্চকর কাহিনীতে মোড়া লালবাঁধ নিয়েও পর্যটকদের কৌতূহলের শেষ নেই – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহাসিক লালবাঁধে পর্যটকদের জন্য নামবে নৌকা। মন্দির নগরীতে বেড়াতে এসে লালবাঁধের জলে ভাসতে ভাসতে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। তার জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নৌকা। কয়েকদিনের মধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জলে ভাসানো হবে।
বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গৌস্বামী বলেন, লালবাঁধে ফিসিং, বোটিং এবং ফ্লোটিং রেষ্টুরেন্টের জন্য টেণ্ডার হয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধে মাছ চাষ হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য খুব শীঘ্রই নৌকাবিহার চালু হবে। পরবর্তীকালে বাঁধে ভাসমান রেষ্টুরেন্টও চালু করা হবে।


প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুর মানেই মল্লরাজাদের আমলে তৈরি টেরাকোটার মন্দির। যা দেখতে প্রায় সারাবছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। শীতের সময় তা বাড়ে। আর মল্লরাজাদেরই তৈরি লালবাঁধ নিয়েও পর্যটকদের কৌতূহলের শেষ নেই। তাই রোমাঞ্চকর কাহিনীতে মোড়া ঐতিহাসিক লালবাঁধ কে ঘিরে পর্যটকদের বাড়তি আগ্রহ থাকেই। তাই বিষ্ণুপুরে বেড়াতে আসা মন্দির দেখার পাশাপাশি পর্যটকদেরকে আলাদা স্বাদ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঐতিহাসিক লালবাঁধকে সাজানো হয়েছে। কয়েকবছর আগে বাঁধের পাড় বাঁধানো হয়েছে।

যাতায়াতের জন্য পাকা রাস্তা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আলো এবং রেলিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। পর্যটকদের খাবারের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত তিনটি স্টল চালু হয়েছে। এবার নৌকাবিহারের জন্য বোটিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগে বোটিং চালু হলেও তা নষ্ট হওয়ায় নতুন করে নৌকা তৈরি করা হচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে বাঁধে নৌকা নামানো হবে। পর্যটকরা নৌকাবিহার করতে পারবেন। আপাতত একটি নৌকা চালু করা হবে। তাতে একসঙ্গে অন্তত ১৬ জন চাপতে পারবেন।

।।কলমে : আবদুল হাই, বাঁকুড়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *