হাঁসখালি বেতনা গ্রামে দুদিন ব্যাপী কৃষকদের সহায়তায় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প রুপায়ানে আলোচনা

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- নদিয়া জেলা মূলত কৃষি প্রধান দেশ। এখানকার অধিকাংশ মানুষ চাষাবাদ এর সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। তবে কৃষিকার্যে মূলত বেশিরভাগই ব্যবহৃত হয় সেই পুরোনো প্রথা অনুযায়ী নিঃশেষিত জ্বালানি। অর্থাৎ কৃষিকার্যে ব্যবহৃত সেই সমস্ত জ্বালানি কিংবা সম্পদ যা কোনও না কোনদিন নিঃশেষিত হয়ে যাবে। তবে আমাদের পৃথিবীতেই রয়েছে অফুরন্ত জ্বালানির ভান্ডার যা কখনও বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই কিংবা তার থেকে পরিবেশ দূষণ হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর সেই সমস্ত প্রশিক্ষণ দিতেই নদিয়া জেলার প্রায় ৫০ জন কৃষকদের নিয়ে আয়োজন করা হল একটি শিবিরের। যেখানে সোলার অর্থাৎ সৌরশক্তি দিয়ে কিভাবে বর্তমানে তা কৃষি কাজে ব্যবহার করে তাতে উন্নতি সাধন করা যায় তারই প্রশিক্ষণ দিল সুইচ অন ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা।

নদিয়ার শান্তিপুর বেতাইয়ের কুটিরপাড়া এলাকায় প্রায় ১০ বছর আগে একটি অফিস গঠন করে সুইচ অন ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। তাদের মূল লক্ষ্য হল, কৃষিকার্যে অন্যান্য জ্বালানি এবং পুরোনো রীতিনীতিকে আধুনিক পর্যায়ে সোলার সিস্টেম অথবা সৌরশক্তিতে কিভাবে রূপান্তরিত করা যায় সেই সমস্ত বিষয় কৃষকদের অবগত করা এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এই বিষয়ে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেই সম্পর্কেও কৃষকদের সম্যক ধারণা দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য বলেই জানান তারা। সেই কারণেই দুদিন ধরে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেন তারা যেখানে তাদের মাধ্যমে দেশ বিদেশে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী সংস্থা আসেন। এবং সেই সম্পর্কে আলোচনা শিবিরের আয়োজন করা হয়।

এই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পেতে কৃষকদের কি কি করনীয়, তার মূল্য কত, সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে কিনা, কিভাবে তারা সেই সুযোগ সুবিধা পাবেন সেই সম্পর্কে সম্যক ধারণা তাদেরকে দেওয়াই এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য বলে জানা যায়। তাদের এই শিবিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বেশ কিছু বিনিয়োগকারী সংস্থা অংশগ্রহণ করেন। সুইচ অন ফাউন্ডেশন দশ বছর ধরে এই সমস্ত কার্যকলাপের মাধ্যমে কৃষক বন্ধুদের পাশে রয়েছেন বলেই জানান অবস্থার কর্মকর্তা অঙ্কিতা চৌধুরী।

গত দুদিন ধরে এই সংস্থা তাদের এই শিবিরের আয়োজন করেন। তারা এই তারা এই শিবিরের আয়োজন করেন হুগলি জেলায় এবং শেষের দিন নদিয়া জেলার বেশ কিছু কৃষক এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই শিবিরের আয়োজন করেন। ক্লিন এনার্জি অথবা সোলার এনার্জি নিয়ে কিভাবে কৃষিকার্যে সেটিকে ব্যবহার করে আর্থিক মুনাফা লাভ সম্ভব তারই একটি সম্যক ধারণা এ দিন দেওয়া হয় অসংখ্য কৃষকদের। আর তার ফলেই ভবিষ্যতে কৃষিকার্যে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকেরা বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন মনে করছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *