নদীয়া জেলা ধর্মীয় তীর্থ স্থান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সাথে কল্যানী গয়েশপুরে গড়ে উঠেছে কুলিয়া পাঠ অপরাধ ভঞ্জন মন্দির। জানা যায়, আজ থেকে ৫৫০ বছর আগে এখানে ছিল না তেমন বসতি চার পাশে ছিল ঘন জঙ্গল মাঠ ঘাট চাষের জমি। এখানে মহাপ্রভুর আগমন ঘটে এবং রাত্রী নিবাস করে। মহাপ্রভুর কৃপায় দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পায় চাপাল গোপাল।
চাপাল গোপাল দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে একাধিক তীর্থ স্থানে ঘুরে মুক্তি পাচ্ছিল না, এরপর পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীতে নবদ্বীপ থেকে ত্রিবেনী গঙ্গা হয়ে কুলিয়া পাঠ মহা প্রভুর কাছে আসে অবশেষে মহাপ্রভুর কৃপায় চাপাল গোপাল মুক্তি পায় দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে। তার পর চাপাল গোপাল দিক্ষা নেয় এবং নতুন নাম হয় দৈবকী নন্দন।
সেই থেকে এই স্থানের নাম কুলিয়া পাঠ অপরাধ ভঞ্জন হয়।
ধিরে ধিরে গড়ে ওঠে মহাপ্রভুর মন্দির। মন্দিরের পাশের ঘাটে স্নান করে দিক্ষা নেয় চাপাল গোপাল সেই থেকে এই ঘাটের নাম হয় বৈষ্ঞম ঘাট।
খুব জাগ্রত এই মন্দির আজ সারা বছর চলে নিয়মিত পুজো পাঠ । বহু দূর থেকে ভক্তদের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীতে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম ঘটে এবং আজ মেলায় পরিণত হয়। মেলা শুরু হবার কয়েক দিন আগে থেকেই ভক্তদের আসা শুরু হয়। আজ এখানে গড়ে উঠেছে কলোনী স্থানীয় এলাকাবাসী সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
গয়েশপুর, নদীয়া
Leave a Reply