অবৈধ নির্মাণ গুলিকে চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে সেগুলিকে ভাঙার কাজে নেমেছে জেলা প্রশাসন এবং বর্ধমান পৌরসভা।

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-বর্ধমান পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ নির্মাণ। সেই অবৈধ নির্মাণ গুলিকে চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে সেগুলিকে ভাঙার কাজে নেমেছে জেলা প্রশাসন এবং বর্ধমান পৌরসভা। বেশ কয়েক মাস আগে বর্ধমান পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের অফিসার্স কলোনি এলাকায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গায় উদ্যোগী হয় বর্ধমান পৌরসভা। যদিও আদালতের নির্দেশে এই অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার কাজ শুরু করে বর্ধমান পৌরসভা। এই সরকারি জায়গায় অবৈধ নির্মাণের উপর হোটেল করেছিলেন অরিন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। যদিও তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শ্রীপল্লী রিক্রেশন ক্লাব এই সরকারি জায়গায় এই অবৈধ নির্মাণ গুলি করে এবং বেশ কিছু অর্থের বিনিময়ে তিনি শুধুমাত্র দোকান ঘরটি ভাড়া নিয়েছিলেন হোটেল করার জন্য। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন,তারপর যখন আমি পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সের এপ্লাই করার জন্য বৈধ কাগজপত্র চাই তখন ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনরকম বৈধ কাগজ আমাকে দিতে চাইনি। আমি শুধুমাত্র বলব ক্লাব কর্তৃপক্ষ আমাদের ঠকিয়ে টাকাগুলো নিয়েছে। অন্যদিকে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার জানান, হাইকোর্টের অর্ডারে আমরা বর্ধমান পৌরসভার অফিসার্স কলোনি এলাকায় চারটি অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার কাজে নেমেছিলাম । যেহেতু অরিন ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি কোর্টের কাছে জানিয়েছিলেন যে পৌরসভা কোনরকম সার্ভে না করেই তার হোটেলটি ভাঙছে। তাই কোর্ট অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার উপর একটি স্টে অর্ডার বের করে বিশেষ করে ওই দোকানটির ওপর। দুটি দোকান ভাঙ্গা হয়ে গেলেও যেহেতু আরেকটি দোকান ওই দোকানটির লাগুয়া ছিল তাই আমাদের পৌরসভার কর্মীরা ওই দোকানটি আর ভাঙেনি। কোর্টের আর বাধা না থাকার কারণে বাকি অংশটুকু আমরা ভাঙার কাজ শুরু করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *