নিজের জমিতে নির্মাণে বাধা।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  নদীয়ার শান্তিপুরে রেল স্টেশনের কাছে রেলবাজার বা বোস মার্কেট নামে খ্যাত বাজারটি ২০০২ সালে ক্রয় করেন অসিত ঘোষ ওরফে বেচা ঘোষ। বাজারটিতে শতাধিক দোকানদার আছেন যারা সবজি, মাছ ও মুদিখানা দ্রব্যাদি বিক্রয় করেন। ১৯৬৫ সালে এই বাজারটির পত্তন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি। ভাঙ্গাচোরা পচা দুর্গন্ধযুক্ত বাজারটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিণত। বর্তমান মালিক অসিত ঘোষ বাজারটির সংস্কার করতে চাইলে দোকানদারদের কাছ থেকে বাধা প্রাপ্ত হন একাধিকবার। এরপর দুপক্ষই আদালতের শরণাপন্ন হয়। প্রথমে নিম্ন আদালত পরবর্তীতে উচ্চ আদালত, এভাবেই বছরের পর বছর কাটতে থাকে। অসিত ঘোষ ওরফে বেচা ঘোষ আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি কোন উচ্ছেদ চান না। তিনি ওই স্থানে একটি পাকা বাজার করতে চান, সেখানে প্রত্যেকের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে চান তিনি। যে যেখানে বসে ব্যবসা করছেন, সে সেখানেই থাকবে। তিনি পাকাপোক্ত বাজার বানিয়ে উপরের তল গুলি নিজের দখলে নিতে চান, আদালত এই মর্মে আদেশও দেন নির্মাণের। তথাপি নির্মাণের প্রস্তুতি নিলেই বারংবার তা বাধাপ্রাপ্ত হয় এক অজ্ঞাত কারণে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাণাঘাট কোর্ট সবকিছু বিবেচনা করে অসিত ঘোষ কে বাজারটি নির্মাণের আদেশ দেন, কিন্তু নির্মাণ শুরুর বন্দোবস্ত করতে গেলেই নির্মাণে বারংবার বাধা দেয় ঐ বাজারের দোকানদারেরা। পরবর্তীতে আদালত শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে নির্দেশ দেন আদালতের আদেশ যথাযথ ভাবে যাতে পালন হয়, অন্যদিকে একইসাথে আদালত রাণাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন, তিনি যেনো দেখেন, শান্তিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আদেশটি যথাযথভাবে পালন করছেন। আদালত আরো নির্দেশ দেন শান্তিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ব্যক্তিগতভাবে প্রতি ১৫ দিন অন্তর আদালতে উপস্থিত থেকে নির্মাণ কার্যের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে জানাবেন। আদালতের এই আদেশের পরেও নির্মাণ করতে বাধা পেয়ে অসিত ঘোষ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। হাইকোর্ট রাণাঘাট কোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এতকিছুর পরও আজ অবধি কোনো নির্মাণ শুরু করতে পারেননি অসিত ঘোষ ওরফে বেচা ঘোষ।
সম্প্রতি পুনরায় আদালত নির্দেশ দেয় বিষয়টি দেখার, কতটা এগিয়েছে নির্মাণ ? দুই পক্ষের উকিল এবং আদালতের আধিকারিকরা এদিন দেখতে আসেন বিষয়টি। এবিষয়ে ঐ বাজার কমিটির সভাপতি বলেন, মহামান্য আদালতের আদেশকে আমরা মান্যতা দিতে চাই। এখন দেখার এরপরেও অসিত ঘোষ ওরফে বেচা ঘোষ এই বাজার টি সংস্কার তথা নির্মাণ করতে পারেন কি না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *