মুখ্যমন্ত্রীর প্রণীত আইনকে কার্যত লাথি দিয়ে এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন গঙ্গারামপুর শহরের বনগাড় সংলগ্ন পুনর্ভবা নদী থেকে নির্ভয়ে নির্ভয়ে চলছে দিনের পর দিন অবৈধ বালু পাচার।

নিজস্ব সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর:-  নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ফের গঙ্গারামপুরে হানা দিয়েছে বলি মাফিয়ারা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর করা আইনকে অমান্য করে গঙ্গারামপুরে ফের বেআইনি বালি পাচারের চক্র অব্যাহত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রণীত আইনকে কার্যত লাথি দিয়ে এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন গঙ্গারামপুর শহরের বনগাড় সংলগ্ন পুনর্ভবা নদী থেকে নির্ভয়ে নির্ভয়ে চলছে দিনের পর দিন অবৈধ বালু পাচার।
নম্বর প্লেট ছাড়া ট্রাক্টরে বালু ডাকাতরা নির্ভয়ে বালু উত্তোলন করে দিনের আলোয় বালু মজুদ করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি বালি চোরাচালান রোধ করতে 2021 সালে বালি খনির নীতি ঘোষণা করেছিলেন। এই আইন প্রণয়নের পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য ছিল অবৈধ বালু চোরাচালান চক্রকে দমন করা এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি আইন লঙ্ঘন করে গঙ্গারামপুরে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি আইন দুর্নীতিগ্রস্ত সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী ভূমিকা পালন করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এখন মূল প্রশ্ন এই বেআইনি কর্মকাণ্ডের পেছনে কারা? আসলে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার কারণ কী?

বালু পাচার চক্রের খবর জানাজানি হতেই সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরও বালু চোরাচালান বন্ধ হয়নি, উল্টো দ্বিগুণ পরিমাণে বালু চোরাচালানের চক্র চলছে। .ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনিক দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর ব্লক ভূমি দফতরের আধিকারিক গোপাল বিশ্বাস।
বিষয়টি তুলে ধরেছেন পরিবেশবাদীরা। এ বিষয়ে পরিবেশবিদ সনাতন তামলী ও দেবাশীষ চাকী বলেন, নদীর পাড়ে যেভাবে বালুকাটা করা হচ্ছে তা পরিবেশের জন্য সত্যিকারের উদ্বেগের বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *