টিবিমুক্ত বাঁকুড়া জেলা ‘সেরকমই একটি উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলার রতনপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম লোপা হেলথ কেয়ার।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ টিবি হারবে বাংলা জিতবে, আমরা গড়বো টিবিমুক্ত বাঁকুড়া জেলা ‘সেরকমই একটি উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলার রতনপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম লোপা হেলথ কেয়ার। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে টিবি মুক্ত বাংলা, টিবিমুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে ও টিবি রোগের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূলী করণ কর্মসূচি কে সামনে রেখে সোমবার সকালে লোপা হেলথ কেয়ার নার্সিংহোমে টিবি রোগ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এদিন ওন্দা ব্লকের রতনপুর, চুরামনিপুর,মাজডিয়া এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মোট ১৭ জন টিবি রোগী এসেছিলেন। তাদেরকে প্রথমে বরণ করে নেওয়া হয় পরে টিবি মুক্ত বাংলা গড়তে তাদেরকে পুষ্টিকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া এবং কি কি সচেতন করলে মানুষের ভালো হয় সেইসব নিয়ে আলোচনা করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হয় সকল রোগীদের।
যেখানে ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বকে টিবি-মুক্ত করার ডাক দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫-এর মধ্যেই দেশকে টিবি-মুক্ত করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগ। নিজেদের ‘টিবি-মুক্ত’ বলে দাবি করা পঞ্চায়েতগুলির দাবি প্রথমে ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে, পরে জেলা স্তরে মূল্যায়ন করা হবে। দু’ধাপে সবুজ সঙ্কেত মিললে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর যৌথ ভাবে সেই পঞ্চায়েতকে ‘টিবি-মুক্ত’ তকমা ও শংসাপত্র দেবে।
এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া ডেপুটি ওয়ান ড. বর্ণামান টুডু, ডিস্ট্রিক্ট টিবি অফিসার ডা. তন্ময় ঘোষ, ওন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক শঙ্খদীপ ব্যানার্জি, ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ লোকনাথ পাল সহ তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি জনেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *