গুঁড়োপান থেকে শুরু করে পানের জুস তৈরি করছেন এই ব্যক্তি।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :-পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পান চাষের জন্য বিখ্যাত। তবে এই ব্যক্তি পান পাতা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে গুঁড়োপান থেকে শুরু করে পানের জুস তৈরি করছেন। জেলার অন্যতম অর্থকারী ফসল পান। মূলত পান কাঁচা ফসল হিসেবেই বাজারে বিক্রি হয়। কারণ পানের বরজ থেকে পান তুলে নেওয়ার পর দু’তিন দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পানকে দ্রুতই বাজার জাত করতে হয়। কিন্তু এবার পান প্রক্রিয়া করণের সংরক্ষণ করা সম্ভব প্রায় তিন মাস পর্যন্ত। আর এই প্রক্রিয়া করণ পর পান থেকে পাওয়া যাচ্ছে গুঁড়োপান থেকে শুরু করে পানের জুস। পান চাষের নতুন আর্থিক কর্ম সংস্থানের দিশা দেখাচ্ছেন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ দোলাই নিজের বাড়িতেই সফল ভাবে পান প্রক্রিয়া করণ করে বাজার জাত করছেন। পান প্রক্রিয়া করণ করে তা থেকে গুঁড়ো পান, পান এর শরবত, পান থেকে চা তৈরি করে নতুন দিগন্ত তিনি খুলে দিয়েছেন। এই কাজের মাধ্যমে পান সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। এমনকি পান এর পুষ্টিগুন ধ্বংস হয় না। ফলে এই প্রক্রিয়া করণ পান চাষীদের সঠিক দিশা দেখাবে।
পান প্রক্রিয়া করণ পদ্ধতি হল। প্রথমে পানের বরজ বা বাজার থেকে পান সংগ্রহ করে নিতে হয়। তারপর পানপাতা থেকে ডাঁটা বাদ দেওয়া হয়। পান পাতা থেকে ডাঁটা বাদ দেওয়ার পর পরিষ্কার জলে ফেলে চলে পানপাতার শুদ্ধি করণ। এরপরে পানপাতা যায় হিট চেম্বারে। হিট চেম্বারে ট্রেতে পানপাতা কে বিছিয়ে দেওয়া হয়। ট্রে হিট চেম্বারে দশ থেকে পনের মিনিট রাখা হয়। তারপর বের করে এনে পান কে গুঁড়ো করা হয়। এই ভাবেই চলে পানপাতার প্রক্রিয়া করণ।

পান এর এই সফল প্রক্রিয়া করনি বিষয়ে হরিপদ দোলাই বলেন,’ বাড়িতে তাঁর পানের বরজ রয়েছে। কিন্তু বর্ষার সময় পান প্রচুর নষ্ট হয়। সেই থেকে চিন্তা ছিল পান নষ্ট না করে কিভাবে বাজার জাত করা যায়। তিনি চা পাতার মতোই পান কে হিট চেম্বারে ফেলে প্রক্রিয়া করণ করা শুরু করেন। প্রথম প্রথম ঠিকঠাক না হওয়ায় হাল ছেড়ে দেননি। কিন্তু পরবর্তী কালে তিনি সফল হন। বর্তমানে তার এই কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি। ফুড সেফটি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। পানের এই প্রক্রিয়া করণ আগামী দিনে নতুন অর্থনৈতিক কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *