নিজস্ব সংবাদদাতা, হিলি : – বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটছে তা এককথায় মানবতা বিরোধী। সে কারনেই আমরা যারা এপারে বাংগালীরা আছি তারা গভীর উদ্বগের মধ্যে রয়েছি। ওদেশের এই মানবতা বিরোধী কাজ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।রবিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক ভারত – বাংলাদেশ হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে এসে এভাবেই ওপারের উত্তাল পরিবেশ নিয়ে নিজের ক্ষোভ ব্যাক্ত করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।পাশাপাশি তিনি আরও জানান আজ সীমান্ত পরিদর্শনে এসে আমার সাথে সীমান্তে প্রহারত বি এস এফ অফিসারদের কথা হয়েছে।তাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ওপারের অবস্থা বিষেষ ভাল নয়।তবে তারা সব দিক দিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন ওপারের এই পরিস্থিতির জন্য ভারত সরকার কেবল মাত্র মেডিক্যালের ভিসা প্রদান করছে। সে কারনে আগে এই হিলি সীমান্ত দিয়ে যেখানে প্রতিদিন ৫০০ লোক যাতায়াত করতেন। সেখানে খোজ নিয়ে জানতে পারলাম সংখ্যাটা এসে দাড়িয়েছে ১৫০ তে।বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি তাদের দল দলীয় ভাবে ওদেশে থাকা শুধু হিন্দু বাংগালীরা নয় যত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন রয়েছেন তাদের উপর যেন আক্রমন না হয় এবং নিরাপত্তা দিয়ে সেদেশে বসবাস যোগ্য করে তোলার জন্য বার বার দাবি জানিয়ে এসেছেন।
অপরদিকে বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সায়ন ঘোষকে ওপারে হেনেস্থা করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশনে অভিযোগ জানানোর ব্যাপারে এর তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত বলেন তিনি এব্যাপারে দিল্লিতে এক্সটারনাল এফীয়ারস দপ্তরের মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন এবং কেন একজন বৈধ পাসপোর্টধারি ভারতীয়কে বাংলাদেশে গিয়ে হেনেস্থা হতে হল সে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৈফিয়ত ও যথাযথ ব্যবস্থ্যা নেবার ব্যাপারে দাবি জানাব।এছাড়াও সেদেশে হিন্দু মহিলা সাংবাদিক রিংকু সাহাকে গ্রেফতারের ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আজ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন সে দেশের এই অভ্যন্তরিন গন্ডোগোলে এর একটা হাত রয়েছে বলে আমরা শুনেছি, এও শুনেছি এসবের পেছনে কয়েকটি বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে।আমাদের পন্যবাহি জাহাজ চলাচলে এই রুট গুরুত্বপুর্ন ।তাই সে দেশে কখন কি যে হচ্ছে তা বলা দায়।তবে সব কিছুতেই ভারত সরকার নজর রেখে চলেছে বলে তিনি জানান।
আন্তর্জাতিক বিষয়ের পাশাপাশি তিনি পশ্চিমবংগের শাসক দলের রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। হমায়ুন কবিরের অভিষেককে পুলিশমন্ত্রী করার দাবি প্রসংগে মুখ্যমন্ত্রী তাকে শোকজ প্রসংগে সুকান্ত বলেন মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন অভিষেককে যদি পুলিশমন্ত্রী করা হয় তাহলে তার কয়েকদিনপরেই তার নিজের চেয়ার চলে যাবে। তাই আগেভাগেই এই শোকজ আর শৃখ্যলা কমিটি।তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শৃখ্যলা মানেন না তার আবার শৃখ্যলা কমিটি। এগুলো সব দেখনদারি বলে মন্তব্য করেন।
বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সায়ন ঘোষকে ওপারে হেনেস্থা করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply