বালুরঘাট ফ্লোরিকালচার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট টানা ৩৫ বছর ধরে ফুল মেলার আয়োজন করে আসছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, ১০ জানুয়ারি:- চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, ডালিয়া সহ একাধিক ফুলে ভরে উঠল বালুরঘাট। শহরের দুই জায়গায় দুটি ফুল প্রেমী সংস্থার উদ্যোগে ফুল মেলা শুরু হয়েছে শুক্রবার। বালুরঘাট ফ্লোরিকালচার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট টানা ৩৫ বছর ধরে ফুল মেলার আয়োজন করে আসছে। শহরের চকভবানী কালীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত জায়গায় তিনদিনের এই ফুলমেলা শুরু হয়েছে এদিন। যা আগামী রবিবার পর্যন্ত চলবে। এদিন দুপুরে মেলায় দেওয়া ফুলের প্রতিযোগিতার বিচার পর্ব চলেছে। বিকেলে একাধিক ফুলের প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলবে। অন্যদিকে, বালুরঘাট হর্টিকালচার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন মাঠে তৃতীয় বর্ষের ফুল মেলা শুরু হয়েছে এদিন।

রংবেরঙের ফুল পছন্দ নয় এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তাই প্রতিবছরই ফুল মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকে শহরবাসী। এবছর একই সঙ্গে শহরের দুই জায়গায় ফুল মেলার আয়োজন ঘিরে উন্মাদনা শহরজুড়ে। কোথাও ফিলাটেন্ডন, মনিস্ট্রা সহ একাধিক অরনামেন্টাল ফুলে ভরে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ।কোথাও আবার আপেল, কমলা লেবু গাছে ভরে উঠেছে। দুপুর পেরোতেই শহরবাসী দুই জায়গায় অনুষ্ঠিত ফুল মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। নতুন প্রজন্মের মধ্যেও ফুল মেলাকে নিয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা গিয়েছে এবছর। অনেকেই মোবাইল বের করে পছন্দের ফুলের সামনে নিজের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে নিচ্ছেন।

ফ্লোরিকালচারের সম্পাদক অরূপ কুমার মন্ডল জানান, ‘১৯৮৮ সাল থেকে আমরা ফুল মেলার আয়োজন করছি। নবীন ও প্রবীণ ফুলপ্রেমী মিলিয়ে ৭৬ জন অংশ নিয়েছেন এখানে। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ও একাধিক ঋতুকালীন ফুল রয়েছে মেলায়। ফুলের সঙ্গে একাধিক ফল ও সবজিও প্রদর্শিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে মিলিয়ে মোট ২৭০ ধরনের ফুল ও ফল প্রদর্শনী হচ্ছে। বিচারকের বিচারে তাদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় করা হয়েছে।’

মালদা থেকে আসা হর্টিকালচারের বিচারক সুভাষচন্দ্র সাটিয়ার জানান, ‘ ১০ রকমের ঋতুকালীন ফুল, ক্যাকটাস সাকুলেন্ট সহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতির গোলাপ রয়েছে মেলায়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪০ জন ফুল , ফল, সবজি সহ বিভিন্ন গাছ দিয়েছেন মেলায়। উন্নতমানের প্রতিযোগিতা চলেছে। গোলাপের আন্তর্জাতিক মানের প্রদর্শনী হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *