মহা কুম্ভ থেকে আতঙ্ক নিয়ে বাড়ি ফিরলেন পুরাতন মালদার এক পরিবার, প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে একরাশ খুভ উগরে দিলেন ওই পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা :— মহা কুম্ভ থেকে আতঙ্ক নিয়ে বাড়ি ফিরলেন পুরাতন মালদার এক পরিবার।কুম্ভ মেলার প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে একরাশ খুভ উগরে দিলেন ওই পরিবার।প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে গিয়ে কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে ভয়াবহ সেইদিনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা শোনালেন পুরাতন মালদার এক দম্পতি।সুতেন রাজবংশী ও শিলা রাজবংশী বলেন কাছ থেকে সেইদিনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরিণতি দেখে আর কখনো যাবেন না সেই কুম্ভ স্নানে এমনই অভিজ্ঞতার কথা শুনালেন।গত সোমবার পুরাতন মালদার ৮ মাইলের বাসিন্দা সুতেন রাজবংশী পরিবারের দশ জন সদস্যকে নিয়ে বাড়ি থেকে নিজের চার চাকা গাড়িতে করে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে মৌনী অমাবস্যার পূর্ণ তিথিতে শাহী স্নানের জন্য পৌঁছাতেই হঠাৎ শুরু হুরো হুরি ধাক্কাধাক্কি। অভিযোগ, সে সময় প্রশাসনিক নিরাপত্তা একেবারেই ছিল না বলে অভিযোগ। যার ফলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুণ্যার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে বহু পুণ্যার্থীর পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটে। পুণ্যার্থীদের হাহাকার আর্তনাদ দেখে আতঙ্কে আঁতকে উঠলেন তারা। ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে হুরমুরিয়ে পড়ে যান তাড়াও। কোনরকমে নিজেদের পরিবারের মানুষজনের প্রাণ বাঁচাতে ব্যাগপত্র মোবাইল ফোন ছেড়ে ত্রিবেনীর সঙ্গম থেকে উঠে আসেন। কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার অদূরে গিয়ে হলো না মনবাঞ্ছনা পূরন। কার্যত সপরিবারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে পেরে আর কখনো যাবেন না তারা কুম্ভ স্নানে।সে কুম্ভ মেলার মুখ থেকে ফিরে আসা অবস্থা এখনো ভুলতে পারিনি পরিবারের লোকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *