তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার তৎপরতায় বাঁধ তৈরির কাজ করছে সেচ দপ্তর।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- তিন মাসের মধ্যেই ৭৫ শতাংস কাজ শেষ বালুরঘাট একে গোপালন কলোনীর খাঁড়ি বাঁধের। বর্ষার আগেই কাজটি শেষ হবে বলে অনেকটায় স্বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের। তবে বাঁধটি কংক্রিটের না হওয়ায় কিছুটা আশাহত এলাকার অনেকে।
বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদী থেকে একটি খাঁড়ি বয়ে গিয়েছে ডাঙা ফরেস্টের দিকে। তবে এই খাঁড়ির গতিপথের পাশে থাকা বালুরঘাট শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে একে গোপালন কলোনিটি। যেখানে বসবাস অন্তত তিন হাজার মানুষের। সরকারি খাস জমিতে বসাবাসকারী এই এলাকার বাসিন্দারা আগেই পাট্টা পেয়েছেন বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। তবে প্রতিবছর খাঁড়ি ধসের ফলে অনেকের জায়গা, বাড়ি সংকীর্ণ হয়ে পরেছিল ওই এলাকায়। তৎকালীন বামেদের সময়েও খাঁড়ির ভাঙন রোধ-এর দাবিটি পূরণ হয়নি এলাকার মানুষের। অবশেষে বর্তমান রাজ্য সরকারের তরফে বরাদ্দ মেলে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। যা দিয়েই তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার তৎপরতায় বাঁধ তৈরির কাজ করছে সেচ দপ্তর। শহরের দিশারি এলাকা থেকে মটর কালি মন্দির পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার খাঁড়ির পাড়ে এই কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে। গাছের গুঁড়ি পাইলিং করে অত্যাধুনিক পলিথিন ব্যাগে বালি ভরে তা সারি বদ্ধভাবে সাজিয়ে নির্মান করা হচ্ছে এই বাঁধটি। এটিকে আরও মজবুত করতে
পাথরের বোল্ডার ফেলে নেট বাঁধাই করা হচ্ছে। যার কাজ শেষের দিকে। ফলে এবার বর্ষায় ওই এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হবে না বলে দাবি। রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থেই এবার পাল্টে যাবে খাঁড়িপাড়ের জনজীবন। খুশি বালুরঘাট শহরের একে গোপালন কলোনির বাসিন্দারা। তবে বাঁধটি কংক্রিটের না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ তৈরি হয়েছে কিছু মানুষের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ সরকার জানান, বাঁধ হচ্ছে খুশির ব্যাপার। তাদের সমস্যা চিরতরে মিটবে এটাই মনে করেন। কিন্ত গার্ড ওয়াল দিয়ে কংক্রিটের বাঁধ হবে এমনটা বলা হয়েছিল। তা হচ্ছেনা। কি হবে তা নিয়ে ধন্ধে তারা। আদৌ সমস্যা মিটবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে যাচ্ছে তাদের।
বালুরঘাট পুরসভার এমসিআইসি তথা ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিপুল কান্তি ঘোষ জানান, বর্তমান প্রযুক্তিতে এভাবেই বাঁধ নির্মান করা হয়ে থাকে। বিশেষ ধরণের ব্যাগ ব্যবহার করা হয় যা দীর্ঘবছর নষ্ট হয়না। ততদিনে এই ব্যাগ বাঁধের গায়ে চেপে বসে। এছাড়া বোল্ডার দিয়ে নেট বেঁধে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে এই বাঁধ। এটি দ্রুত স্থাপনযোগ্য, জলরোধী, বন্যা, ক্ষয়ক্ষতি, এবং কাদা ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়। বর্ষার আগেই কাজটি সম্পূর্ণ করে এলাকার মানুষকে নিশ্চিত উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে এই বাঁধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *