কর্তব্যে অবিচল থেকেও নিজের শখ ভোলেননি, থানার ভেতরেই তিলে তিলে সযত্নে সুবিশাল একটি গোলাপ ফুলের বাগান তৈরি করে দিয়েছেন কুচলিবাড়ি থানার ওসি ভাস্কর রায়।

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ভাস্কর রায় কুচলিবাড়ি থানার ওসি। জৈব পদ্ধতিতে আস্ত একটি বাগান তৈরি করেছেন। সেখানে আছে একাধিক প্রজাতির গোলাপ ফুলের সমাহার।

তিনি থানার মাথা। চোর-বদমাইশদের নিয়ে নাড়াঘাটা করাটা পুলিশ হিসেবে তাঁর ডিউটি। তাও আবার ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া তিনবিঘা করিডোর এর ঢিল ছড়া দূরত্বে অবস্থিত থানার দায়িত্বে তিনি। যেখানে স্থানীয় সমস্ত রকমের ক্রাইম এর পাশাপাশি বিশেষভাবে নজরদারি থাকে কাঁটাতার লাগোয়া ও বেশ কিছু এলাকা কাঁটাতার ছাড়া চুরি থেকে অনুপ্রবেশকারী সমস্ত কিছুই রুখতে।সেই কর্তব্যে অবিচল থেকেও নিজের শখ ভোলেননি, থানার ভেতরেই তিলে তিলে সযত্নে সুবিশাল একটি গোলাপ ফুলের বাগান তৈরি করে দিয়েছেন। যার সমস্ত দেখভাল থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ পুরোটাই করে কুচলীবাড়ী থানার পুলিশ আধিকারিক থেকে সিভিক কর্মীরাই।

চারিদিকে কেবল কাঁটা তারে বেড়া, বিএসএফের কড়া নজরদারি, প্রায় প্রতিনিয়তই গোলাগুলির শব্দ। কিন্তু এই থানায় এলেই পুরোটাই পাল্টে যাবে। গেটে ঢুকতেই ভারতীয় পতাকা, তার নিজস্ব মহিমায় হওয়ার সঙ্গে খেলছে, চারিদিকটা সবুজে ঘেরা গাছপালা দিয়ে ভর্তি। কিছুটা দূর এগোলেই সুন্দর দেব দেবতাদের মন্দির। আর এর মাঝি রয়েছে গোলাপ ফুলের বাগান। শুধু পুলিশ কর্মীরাই নয় গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে ক্ষুদে পড়ুয়ারাও এই থানার ভেতরে অনায়াসে চলে আসে রংবেরঙের গোলাপ ফুল দেখতে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্রাইম সংক্রান্ত বিষয়ে তুলে আনা কয়েদিরাও মুগ্ধ হয়ে যায় এই গোলাপবাগান দেখে। তবে থানার তরফে গোলাপ বাগানের মুগ্ধতা নিতে কোনরকম রেস্ট্রিকশন করে দেওয়া নেই। যে কেউ যেকোনো সময় বাগানে আসতে পারে এমনকি সরস্বতী পূজোর সময় গোটা গ্রাম স্কুল এই বাগানের ফুল অনায়াসে নিয়ে যায়। গোলাপের এই বাগানি যেন থানাকে এক অন্য পরিচিতি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *