দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ– “আশা”, “রাজা”, “রাজু”। কারও চোখে যেন প্রাণ পেয়েছে তারা। কেউ নাম রেখেছে স্বপ্নের মতো করে, কেউ আবার আদরের মতো। না, কোনও পোষ্য নয়, কোনও গল্পের চরিত্রও নয়, এই নামগুলি এক একটি সদ্য রোপিত চারাগাছের।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিনে এক অভিনব উদ্যোগে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের আনন্দ বাগান পার্ক। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর আহ্বানে এদিন ওয়ার্ডের একঝাঁক খুদের হাতে গাছ তুলে দেওয়া হয়। শুধু রোপণ নয়, সেই গাছের নামকরণও করল শিশুরাই। যেই শিশু যে গাছটি লাগাল, তার নামও দিল নিজের মতো করে।
কাউন্সিলর জানালেন, এই গাছগুলিকে বড় করার দায়িত্ব ওই শিশু ও তার পরিবারের উপরেই। যাতে তারা একে পরিবারের সদস্যের মতোই লালন-পালন করে বড় করে তোলে। তাঁর কথায়, “শুধু গাছ লাগিয়ে ছবি তুলে পোস্ট করলেই হবে না। পরবর্তী প্রজন্মকে গাছের গুরুত্ব বোঝাতে হলে তাদেরকেই যুক্ত করতে হবে এই কর্মসূচির সঙ্গে। তাই আমি চেয়েছি শিশুরাই হোক গাছের অভিভাবক।”
গাছের সঙ্গে নামের এই বন্ধন যেন এক মানবিক সম্পর্কের সূচনা। আদরের নাম, যত্নের ছোঁয়া আর পারিবারিক দায়িত্বে বেঁধে ফেলা— সব মিলিয়ে পরিবেশ রক্ষায় এক অন্যরকম বার্তা দিল বালুরঘাটের এই উদ্যোগ।
Leave a Reply