সম্প্রতি শুভ রথযাত্রারদিন (২০-০৬-২০২৩) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো প্রথিতযশা সাহিত্যিক দিলীপ রায়ের জন্মদিন উদ্যাপন অনুষ্ঠান । কলকাতার নলিনী সভা ঘরে (যোগাযোগ ভবনের উল্টোদিকে, মেট্রো সেন্ট্রাল স্টেশন) । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বরিষ্ঠ কবি-সাহিত্যিক এবং অন্যান্য বিদগ্ধ গুণীজণদের উপস্থিতিতে কেক কেটে অনুষ্ঠিত হলো সুন্দর একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান ।
শুভ রথযাত্রার দিন (১৯৫৮) প্রথিতযশা সাহিত্যিক দিলীপ রায়ের (৯৪৩৩৪৬২৮৫৪) জন্ম । তিনি ৬৫ পার করে ৬৬ বছরে পদার্পণ করলেন । "আনন্দ প্রকাশন" ঘটা করে কলকাতার 'নলিনী সভা ঘরে' জন্মদিন পালন করলেন, যেটা এক কথায় অবর্ণনীয় এবং সাহিত্যের নিরিখে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ! আনন্দ প্রকাশনের এহেন উদ্যোগ সাহিত্য মহলে নজির সৃষ্টি করলো ।
যেটা জানা গেছে, শ্রদ্ধেয় দিলীপ রায় আনন্দ প্রকাশনের সঙ্গে কবে থেকে যুক্ত তার সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা কঠিন । তবে সম্পর্কটা দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক । এযাবৎ তার ২১টি গ্রন্থ প্রকাশিত । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উপন্যাস ছাড়া সবগুলি গ্রন্থ আনন্দ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত । অন্যান্য প্রকাশন সংস্থার প্রলোভনেও তিনি আনন্দ প্রকাশন থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাননি । তিনি মনে করেন, তাঁর লেখা পাঠক মহলে সমাদৃত হলে লেখা সার্থক । সেই নিরিখে, আনন্দ প্রকাশন দক্ষতার সাথে তাঁর লেখাগুলি পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন । এখানেই আনন্দ প্রকাশন অনন্য । উল্লেখ থাকে যে, জন্ম থেকেই শ্রদ্ধেয় দিলীপ রায় গ্রাম-বাংলার প্রতি সতত সংবেদনশীল । ফলে তাঁর প্রত্যেকটি লেখায় গ্রামীণ জীবনের দর্পণ ফুটে ওঠে । তা ছাড়া তাঁর লেখনীর ক্ষুরধার অবর্ণনীয় । সাহিত্যের নিরিখে তাঁর সৃষ্টির পরম্পরা আজকের দিনে পাঠক সমাজে বিপুলভাবে সমাদৃত । তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি সর্বজনবিদিত । বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে দাঁড়িয়ে দেশের বিভিন্ন ধরনের মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থিক ও নারী প্রগতির দিকগুলির একটা বাস্তব চিত্রের পরিচয় তাঁর লেখায় প্রস্ফুটিত । যার জন্য এহেন প্রথিতযশা সাহিত্যিক দিলীপ রায়ের প্রত্যেকটি গ্রন্থ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং সমাদর লাভ করেছে । এখানেই শ্রদ্ধেয় দিলীপ রায়ের লেখার সার্থকতা !
অনুষ্ঠানে দীঘার সমুদ্র সৈকত থেকে এসেছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নাসির আলি, বাঁকুড়া থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. রামপ্রসাদ বিশ্বাস ও প্রাবন্ধিক সুজয় ঘোষাল, খেজুরি থেকে শ্রীমন্ত দাস ও সত্যজিত ভূঁঞ্যা, কৃষ্ণনগর থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিক বীরেন্দ্রনাথ সরকার, বর্ধমান থেকে বিশিষ্ট কবি অরবিন্দ সরকার, কলকাতার বিশিষ্ট কবি ও বাচিক শিল্পী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুশান্ত ঘোষ, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বরুণ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক গোপাল চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক বিমলচন্দ্র গড়াই, বিশিষ্ট কবি ডা. দীপ্তি রায়, বিশিষ্ট কবি কল্পদেব চক্রবর্তী, বিশিষ্ট কবি রবীন্দ্রনাথ সরকার, বিশিষ্ট কবি ফটিক চন্দ্র বিশ্বাস, বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী নন্দিনী লাহা ও রঞ্জনা কর্মকার, বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রবীর কুমার চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি দিলীপ প্রামাণিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অসীত প্রামাণিক, বিশিষ্ট কবি সুনীল সরকার, বিশিষ্ট কবি সুজন দে, বিশিষ্ট কবি মানিক সরকার, বিশিষ্ট কবি রণজয় মালাকার ও আরও বরিষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিক । রথযাত্রার পুণ্যদিনে গৌরবোজ্জ্বল উপস্থিতির সংখ্যাটা নেহাত কম নয় । ভাল একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান । সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আনন্দ প্রকাশনের কর্ণধার নিগমানন্দ মণ্ডল । উপস্থিত ছিলেন আনন্দ প্রকাশনের কর্ণধারের বড় ভাই শ্রদ্ধার মানুষ দেবানন্দ মণ্ডল এবং আনন্দ প্রকাশনের দীর্ঘদিনের কর্মী হরিপদ শীল ।
পরিশেষে আনন্দ প্রকাশনের আয়োজনে প্রথিতযশা সাহিত্যিক দিলীপ রায়ের এহেন জন্মদিন উদ্যাপন অনুষ্ঠানকে “সব খবর” পত্রিকার তরফ থেকে সাধুবাদ জানাই এবং আনন্দ প্রকাশনের সমস্ত কর্মীদের কুর্নিশ জানাই ।
Leave a Reply