আবদুল হাই, বাঁকুড়া:- বাংলা সাহিত্যের আদি মধ্য যুগের মহাকবি বড়ু চন্ডীদাস রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য আবিষ্কৃত হয়েছিল বাঁকুড়া জেলার কাঁকিলা গ্রামের এক গোয়াল ঘর থেকে। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এর সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুথিটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। তার পরবর্তী সময়ে এই গ্রন্থটি নিয়ে পন্ডিত মহলে বহু আলোচনা ও লেখালেখি হয়েছে।
২৫ শে জুন ২০২৩ ছাতনা সংযুক্তা ভবনে প্রকাশিত হলো বড়ু চন্ডীদাস বিরচিত শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের ভাব প্রয়াস। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করেন বর্তমান ছাতনা রাজ পরিবারের সদস্য প্রদীপ কুমার সিংহ দেও এবং এই বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন ড: দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন ছাতনার ভূমিপুত্র কবি স্বরাজ মিত্র। ছোটবেলা থেকেই ছত্রিনা নগরীর তথা এই সামন্ত ভূমের লোকজ উপাদান নিয়ে ক্ষেত্র সমীক্ষায় মনোনিবেশ করেছিলেন কবি স্বরাজ মিত্র। তারই ফলস্বরূপ এই শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের ভাব প্রয়াস। প্রাক চৈতন্য যুগের বাংলা ভাষার একমাত্র আখ্যান কাব্যের ভাবপ্রয়াসে উপকৃত হবেন ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল সাহিত্য অনুরাগী মানুষজন। বইটির ভূমিকা লিখেছেন অধ্যাপক ডঃ দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাঁঝবাতি প্রকাশনীর এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সৈয়দ কওসর জামাল, প্রজিত জানা, ডঃ অরুনাভ চট্টোপাধ্যায়, ডঃ দয়াময় রায়, সাহিত্যিক সৈকত রক্ষিত লোকগীতি কৃষ্ণ দুলাল চট্টোপাধ্যায়, কবি বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক অভিসার দিকের উপস্থিতিতে চাঁদের হাট বসেছিল আজকের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
বাঁকুড়া থেকে আবদুল হাই এর রিপোর্ট