অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া, কয়লা বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া, কয়লা বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পারছে না। গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদ কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদীয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোন উন্নয়ন করেনি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোন মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না। এদিন সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মত বড় বড় বাতেলা মারিনা। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পারছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষিকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোন কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে ‌। তার মূল্য কি কোনদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি বলেন প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি তা তৃণমূলের কোন সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *