নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভাবে রক্তের হোলি খেলবে তাহলে বিজেপি কেউ সেই খেলাতে নামতে হবে। তখন যেন আমাদের কেউ দোষ না দেয় যে বিজেপি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলছেনা। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে। এদিন নদীয়ার নবদ্বীপে একটি নির্বাচনী মিছিলে এসে রাজ্যে শাসকদল ও কমিশনকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নবদ্বীপ শ্যামপুর বাজার থেকে রাওতারা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তার শিষ্য নেতৃত্ব প্রচারে নেমে পড়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা নাথ দিতে দেওয়া। আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধোর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গতকাল মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপি বুথ সভাপতি ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্যজুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে। কোচবিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা জুড়ে যত তৃণমূলের নেতা রয়েছেন সবাই চোরা চালানোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তারা চায় জোর করে পঞ্চায়েত দখল করার। কারণ বিএসএফের নিয়ম অনুসারে জন প্রতিনিধিদের কথা কিছুটা হলেও বিএসএফকে শুনতে হয়। আর এর মাথায় রয়েছে উদয়ন গুহ। তিনি বলেন যতদিন পর্যন্ত এই গুণ্ডা তৃণমূলে থাকবে ততদিন এই চোরা কারবার এবং সংঘর্ষ চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তিনি সবসময় বিএসএফ থেকে শুরু করে আর্মিদের ও টার্গেট করে মন্তব্য করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সময় এলে আর্মি বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিপদে পড়েছিল তখন আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নামতে হয়েছিল। আবার বলতে হল আমার ছোটবেলায় আর্মিতে কাজ করা খুব ইচ্ছে ছিল। যার ইচ্ছা থাকবে সে কখনো আর্মি সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে? যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল তখন ইমরান খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গিয়েছিল। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানের নামুক। ভালো খেলোয়াড় না হলে খেলে মজা হয় না। উনাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হারাবো।