প্রায় ৪৪ বছর ধরে একই ধারাবাহিকতার সঙ্গে স্বল্প মূল্যে রোগী দেখছেন ডাক্তার অমিতাভ চট্টরাজ।

0
498

আবদুল হাই,বাঁকুড়া:- “স্বাস্থ্যই সম্পদ” এই কথাটা সময় মত বোঝার আগেই দেরি হয়ে পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বেড়েছে চিকিৎসার খরচ। তার মধ্যে একটু জটিল কোনো রোগ ধরা পড়লেই সেই খরচ বেড়ে যায় স্তরে স্তরে। সাস্থের পরীক্ষা, আই সি ইউ এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হতে সারা জীবনের পরিশ্রমের পুঁজি শেষ হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের। এই টানাটানির বাজারেও “গরীবের ডাক্তার” রয়েছেন অনেকেই। যারা দিনের পর দিন একদম সল্প মূল্যে অথবা বিনা মূল্যে করছেন রোগীর চিকিৎসা। তাদের মধ্যেই অন্যতম হলেন বাঁকুড়ার স্বনামধন্য চিকিৎসক অমিতাভ চট্টরাজ। কুড়ি বছর চাকরি করার পর স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে স্বল্প মূল্যে বাঁকুড়ার নতুন চটি এলাকায় রোগী দেখতে শুরু করেন তিনি। পাঁচ টাকা ,দশ টাকা করে করে বর্তমানে মাত্র ২০০ টাকার এবং কখনও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চলে এই কর্মযজ্ঞ।

“ডাক্তার কখনও ভগবান হতে পারে না” এমনটাই মনে করেন তিনি। প্রায় ৪৪ বছর ধরে একই ধারাবাহিকতার সঙ্গে স্বল্প মূল্যে রোগী দেখছেন ডাক্তার অমিতাভ চট্টরাজ। এদিন আন্তর্জাতিক চিকিৎসক দিবস। কোন নির্দিষ্ট একদিন নয়, বছরে ৩৬৫ টা দিনই চিকিৎসক দিবস, আন্তর্জাতিক চিকিৎসক দিবসে এই বার্তা দিলেন চিকিৎসক অমিতাভ চট্টরাজ।

বাঁকুড়া শহরের নতুন চটিতে প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত আশা নিয়ে ভিড় জমান দূর দূরান্তের রোগীরা। কথায় আছে “সামান্য আশা পেলেই সম্ভব মনে হয় অসম্ভবকে”। ডাক্তার অমিতাভ চট্টরাজের মত মানব দরদি ডাক্তাররা এখনও আছেন বলেই হয়তো সমাজে বিশ্বাসের বন্ধন অটুট রয়েছে।

বাঁকুড়া থেকে আবদুল হাই এর রিপোর্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here