নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ বিজেপি করার অপরাধে জেলার তালডাংরা থানার আমডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়া বুথে বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধোরের অভিযোগ সহ প্রানে মেরে ফেলার অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে গ্রামবাসী তৃণমূল কর্মীর কাছে বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধোরের কারন জানতে আগামী এগারো তারিখের পর ঘরছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে। বিজেপির পক্ষ থেকে ঐ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে তালডাংরা থানায় লিখিত অভিযোগ করে বেনাচাপড়া বুথের বিজেপি সভাপতি মনোজ মাকুড়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরুর হয়ে রাজনৈতিক তরজা।
আক্রান্ত বিজেপির বুথ সভাপতি জানায় সোমবার সন্ধ্যার সময় বুথের প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করার পর রাত আট নটার সময় ক্লাবে থাকা গ্রামের ছেলেদের সাথে দেখা করতে যায় বেনাচাপড়া বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি মনোজ মাকুড়। তখন ক্লাবের মধ্যে উপস্থিত থাকা জগদীশ পাল নামে এক তৃণমূল কর্মী তার উপর আক্রমণ চালায়। গলা চেপে ধরে এবং বুকে বারে বারে ঘুষি দেয় এবং গলা দেবে রেখে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তখন বিজেপির বুথ সভাপতির গলায় আঘাত করে এবং সাথে সাথে বিজেপির বুথ সভাপতির গলার কিছুটা অংশ কেটে। উপস্থিত গ্রামের ছেলেরা তখন বিজেপির বুথ সভাপতি রক্ষা করে বলে দাবি বিজেপির। এবং রাত দশটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয় আমডাংরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাকে। সেখানে বিজেপির বুথ সভাপতির গলায় স্টিচ করা হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা করা হয়। পরে রাতেই নাগাদ তালডাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত বিজেপির বুথ সভাপতি মনোজ মাকুড়।
অন্যদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর কাছে মারধোর করা হল কেনো জানতে যায় গ্রামবাসীরা। তখন গ্রামবাসীদের ভোটের গননার দিন অর্থাৎ এগারো তারিখের পর বেনাচাপড়া গ্রাম থেকে গ্রামবাসীদের তাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জগদীশ পাল
অন্যদিকে জগদীশ পালের প্রতিক্রীয়া না পাওয়া গেলেও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন আমডাংরা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ প্রতিহার। তিনি বলেন জগদীশ পালের বাবা ঐ বুথের বিজেপি প্রার্থীর প্রস্তাবক। আর জগদীশ পাল তৃণমূল করে বলে ওর নামে উল্টা পাল্টা রটানো হচ্ছে। আরো বলেন যেটা শুনলাম ক্লাবের টিভি দেখা নিয়ে সমস্যা তার মারপিট হয়। বর্তমানে ঘটনাতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।