দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- এবার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের অত্যাচারে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানার সেকেন্দারপুর গ্রামে। মৃতা ঐ গৃহবধূর নাম আবিদা খাতুন। বয়স ২১ বছর। তাঁর বাবার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থানার মহাল গ্রামে। মৃতার মামা সেখ আসিব জানান, বছর তিনেক আগে সেকেন্দারপুর গ্রামের সেখ জিয়ারুলের সাথে বিয়ে হয় আবিদা খাতুনের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আবিদার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা। টাকা না আনলে চলত তাঁর ওপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার বৈকালে আমি এক গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পাই যে আমার ভাগ্নী মারা গিয়েছে। তড়িঘড়ি আমরা সেখানে পৌঁছায়। কিন্তু গিয়ে দেখি তাঁর মৃতদেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। আমরা গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি আমার ভাগ্নীর স্বামী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপর অত্যাচার চালাত। তারপর দেখি গলায় একটি দাগ রয়েছে। আমরা যখন জামাইকে জিজ্ঞাসা করি সে বলে সাপে কামড়েছে। আর তাঁর শ্বশুর মফিজুল রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন বাথরূম মৃতদেহটি পড়েছিল। তাই বাবা ও ছেলের কথার মধ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়লে আমরা দুবরাজপুর থানার দ্বারস্থ হলাম। এদিন আমরা থানায় স্বামী সেখ জিয়ারুল, শ্বশুর মফিজুল রহমান, শ্বাশুড়ি রেহেনা বিবি, ননদ রুকসোনা বিবি ও রুবি খাতুনের নামে এফআইআর দায়ের করলাম। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমার ভাগ্নীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। দুবরাজপুর থানার পুলিশ সেকেন্দারপুর গ্রামে গিয়ে মৃতদেহ দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারপর ময়না তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Leave a Reply