নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদিয়া জেলার অধিকাংশ জায়গায় সবুজ ঝড় উঠলেও কৃষ্ণগঞ্জ এর হাল ততোধিক ভালো নয়। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৃষ্ণগঞ্জে র সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি ছিল তৃণমূলের দখলে। জেলা পরিষদের দুটো আসনের দুটোই তৃণমূলের আওতায় ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র দুটি পঞ্চায়েত পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং একটি বিজেপির দখলে। এছাড়াও এবারের তিনটি জেলা পরিষদের আসনের মধ্যে মাত্র একটি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দুটি বিজেপির দখলে। ২১ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে অতি কষ্টে ১২ টি আসন পেয়ে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করবে শাসক দল।
নির্বাচনের ফলাফলের পরেই শাসকদলের মধ্যেই শুরু হয়েছে অন্তরদ্বন্দ্ব নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সহ সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের গোপাল ঘোষ অপসারণের দাবি করছেন বর্তমান ব্লক সভাপতির। তাকে অপসারণ করে নতুন করে ব্লক সভাপতি নির্বাচন করা এবং সেই সভাপতিের নেতৃত্বেই নতুন করে সংগঠনকে সুসংগঠিত করার দাবি জানিয়েছেন বর্তমান কিশোরগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি গোপাল ঘোষ।
এ বিষয়ে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক বিজেপি কনভেনার পরিতোষ বিশ্বাস জানান, “কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক এ ভারতীয় জনতা পার্টির যে ফলাফল হয়েছে এতে আমরা খুশি নই। কারণ কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ৭-০ হিসেবে আমরা পঞ্চায়েত দখল করতাম। কিন্তু এখানে বিডিও সাহেবের সহযোগিতায় আমরা সেই ফলাফল করতে পারিনি। তিনি সম্পূর্ণ টিএমসিকে সহযোগিতা করেছেন। এবং গণনা গণনা কেন্দ্রেও তিনি সমিতিতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তাদেরকে জিতিয়ে দিয়েছেন। আমাদেরকে রি-কাউন্টিং করতে দেননি। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের এক থেকে দুই ভোটে হার হয়েছে সেই সমস্ত জায়গাতে আমাদেরকে রি কাউন্টিং করতে দেননি তিনি। টিএমসি যেটুকু আসন পেয়েছে সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সহযোগিতায়।”
স্বাভাবিকভাবেই ভোটের ফলাফলের পরেও কৃষ্ণগঞ্জে শাসক দল এবং বিরোধী দলের চাপানোতোর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।