নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আল্লা মেঘ দে,পানি দে———-উত্তর বঙ্গ জলে ভাসছে।বৃষ্টি নেই দক্ষিণবঙ্গে। যাওবা বৃষ্টি হচ্ছে মাটি বিজ্জে না। করুন অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের কৃষক বা চাষীদের।বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতোন চেয়ে আছে আকাশের পানে।তার মধ্য সূর্যের প্রচণ্ড তাপে ও রোগে পাট শুকিয়ে যাচ্ছে।পাট বাড়ছে না।নদী নালা খানাখন্দ শুকিয়ে কাঠ।জলের অভাবে পাট কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে।মাঠের পাট মাঠে শুকাচ্ছে জলের অভাবে। কৃষকদের কথা ভাবার সময় কোথায় সরকারে।ঘরের জমানো টাকা শেষ।চেঁপেছে মাথায় ঋনের বোঝা।সদ্য শেষ হলো বঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন।চাষী বা কৃষকদের কথা চিন্তা না করে,কেন বিরোধী রা কেন আসন পেলো সেই চিন্তাই মশগুল।প্রথমবার পাটে বীজ ছড়িয়ে ছিল কৃষকেরা,সেই সময় জলের অভাবে মাঠ ফেঁটে চৌচির ।ফলে পাটের চারা মাটেই শুকিয়ে যায়।পরে বৃষ্টি হবার পর চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির বলিদাপাড়া,সরডাঙ্গা মলিচাগর এবং কল্যানী ব্লকের চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর জিপির এরিয়া তে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাষ হলেও জলের অভাবে পাট জাগ দিতে পারছে না কৃষকেরা ফলে মাঠের পাট মাঠেই ফেলে রেখেছে।মলিচাগরের সাউবুদ্দিন মন্ডল বলেন,এক বিঘা জমি চাষ করতে জমির মালিকের খাজনা পনের হাজার টাকা এরপর লাঙ্গল দুবার,নিরানি বাবদ,সার জল তেল নিয়ে খরছ প্রায় চোদ্দ হাজার টাকা। এখন পাটের দাম নেই।গত বছর পাঁচ হাজার টাকা দরে পাট বেঁচে ছিলাম। সেই তুলনায় এবছর ভালো পাট চার হাজার দুশো থেকে চার হাজার আট টাকা।ছাট পাট আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এক কথা বলেন,বাবলা তলার রতন বাইন,সরকার আমাদের কথা চিন্তা করে খাল সংস্কার করে দিত তাহলে তাহলে গ্রামের কৃষকেরা উপকৃত হতো। ভোটের সময় আসে ভোটের পর আর দেখা পাওয়া যায়না। চাষীদের কথা ভাবার সময় কোথায়। কৃষকবন্ধু তো জমির মালিক রা পাবে। দাদন দিয়ে জমি যারা চাষ করে তারা কি পাবে এক রাশ প্রশ্ন উঠে আসে কৃষকদের মুখ থেকে।