নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- দুর্গাপুজোর এখনো ঢের বাকি! কিন্তু নদীয়ার ফুলিয়া কলোনি সেবা সমিতির সদস্যরা প্রতিবারের মতন এবারেও আগেভাগে অর্ধ সমাপ্ত দুর্গা প্রতিমা মূর্তি গতকাল রাতে মৃৎশিল্পী শান্তিপুর শ্যামবাজারের সৌরজ পালের কারখানা থেকে নিয়ে গেলেন নিজেদের ঠাকুরদালানে। কারণ প্রতিমাসজ্জার কাজ করেন পাড়ার ছেলেরাই, এটাই ৬০ বছরের ট্র্যাডিশন। বিভিন্ন পেষার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে, পাড়ার ছেলেরা সময় পান রাতে, পাড়ারই চিত্রশিল্পী প্রশান্ত বসাকের নির্দেশ অনুযায়ী সকলে হাতে হাত লাগান প্রতিমা সজ্জার কাজে। কোনো বার অভ্র , কোনবার তামার তার, অথবা কোনো বাতিল ব্যবহার্য জিনিস তাই দিয়ে অসাধারণ প্রতিমা সজ্জা করে থাকেন তারা। যা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এই মন্ডপে। এবার তাদের থিম সুতলি এবং পাটের এবং নানান সুত দড়ি, ১২ ফুট উচ্চতার তিনটি পার্ট এ নির্মিত হয়েছে সমগ্র প্রতিমা। পাড়ার অঙ্কন শিল্পী তার মনের মতন ছবি এঁকেছিলেন, আর তাতেই মাটির রূপ দিয়েছেন শান্তিপুর শ্যামবাজারের মৃৎশিল্পী সৌরাজ পাল। এভাবেই বিগত আট বছর ধরে এখানেই বানাচ্ছেন ঠাকুর। যদিও এবারের পূজো ষাট বছরে পদার্পণ করেছে। এই উপলক্ষে ষষ্ঠী থেকে দশমী বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সকলে একত্রে এক হাঁড়িতে খাওয়া-দাওয়া এসবই দিনগোনা কাজের ফাঁকে ফাঁকে। তবে মহালয়া পার হলেই দেবী প্রতিমা সহ সমস্ত মূর্তির চোখ আঁকা সহ চূড়ান্ত পর্যায়ের রং করতে মৃৎশিল্পী সৌরাজ পৌঁছাবে পূজা মন্ডপে। তবে এটি তাদের পূজার ঠাকুর নয় দর্শনার্থীদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার জন্য আর্টের ঠাকুর। আকার আকৃতিগতভাবে কিছুটা হলেও ছোট একচলার দুর্গা প্রতিমাও বানানো হয়েছে পুজোর উদ্দেশ্যে।
গতকাল রাতে, এই দুই ঠাকুর ই তারা নিয়ে গেলেন ভাড়া করে আনা, দুটি মেটাডোর গাড়িতে করে। আজ থেকেই ওই এলাকায় পুজোর কাউন্টডাউন শুরু।