কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্বেও রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নেই। কালজানির ১৪ বছরের কিশোরীকে যারা ধর্ষণ করে মেরে ফেলে তাদের ফাঁসির দাবিতে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে অভিযানে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। এদিন তারা মদনমোহন বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মিছিল বের হয়। ওই মিছিল সারা শহর পরিক্রমা করে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে গিয়ে প্রথম ব্যারিগেট ভেঙে তারা এসপি অফিসের সামনে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা ডেপুটেশনের কপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে ওই এলাকায় প্রচন্ড উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিন এবিষয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য সম্পাদক শুভব্রত অধিকারী বলেন, থাপাইডাঙ্গায় যেভাবে নাবালিকা ছাত্রীটিকে নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তার সাথে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ফলে ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই ছাত্রীটির মৃতদেহ থেকে শুরু করে পরিবারের লোকদের টেনে-হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে শাসক দলের নেতৃত্ব। তৃণমূলের নেতাদের ভয় ওই পরিবার যদি আসল ঘটনা তুলে ধরে তাহলে বিপদে পড়বে শাসক দলের নেতা- কর্মীরা। তাই ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য এবং দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রাসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহারের খাপাইডাঙ্গা এলাকায় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার উপর পাশবিক অত্যাচার করে। প্রচন্ড আহত অবস্থায় তাকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কয়েক দিন চিকিৎসার পর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘটে। এরপরেই মৃতদেহ এবং পরিবারের লোকজনদের নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং গেরুয়া শিবিরের মধ্যে টানাপোড়েন চলতে থাকে। মৃত ছাত্রীর বাবাকে নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে টানা হিঁচড়ে চলতে থাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় ছাত্র সংগঠন এস এফ আই। বিজেপির ছাত্র সংগঠন এ বি ভি পি কোচবিহার জেলাশাসকের অফিস চত্বরে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশনের ডাক দেয়। এদিন কোচবিহার জেলাশাসক অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এ বি ভি পি।
Leave a Reply