দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জরাজীর্ণ! কঙ্কালসারও বটে। শ্যাওলায় ভরা রেলিং। সিমেন্ট খসে বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। বোল্লা পঞ্চায়েতের পার পতিরাম রায়পুর গ্রামের এই সেতুর বয়স এখন পঁয়ত্রিশ বছর। মাঝে দশ দশটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে একবারও সেতুর কোনও সংস্কার হয়নি। তার ফল হয়েছে ভয়াবহ। গ্রামবাসীর আশঙ্কা, যে-কোনও দিন কোনও বড়সড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যান চলাচলের সময় ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি।
সাইকেল, বাইক ছাড়াও রায়পুরের ওই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করে। কৃষি প্রধান এলাকা রায়পুর। রোজ প্রচুর পরিমাণে আলু, বেগুন, পটল, মুলো, শসা, তরমুজ, কপি, লাউ, কুমড়ো, লংকা, শাকসবজি বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে ছোট লরি বা মিনি ট্রাক এই রাস্তার ওপর দিয়ে প্রায় সব সময়ই যাতায়াত করে। এছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে রোজ শ’য়ে শ’য়ে গ্রামবাসী বড় রাস্তায় যাওয়া-আসা করেন। সেতুর স্বাস্থ্য বিষয়ে বহুবার তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি ছাড়া মেলেনি কিছুই।
এই জরাজীর্ণ সেতুর পাশেই সেলুনের দোকান চালান রতন শীল। তাঁর কথায়, প্রায় ১০ বছর ধরে এই সেতুর অবস্থা খারাপ। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে যে, সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন গেলেও আমাদের চিন্তা হয়। মনে হয়, এই বুঝি সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের সকলেই বিষয়টি জানেন। কিন্তু কারও কোনও হেলদোল নেই।’ গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা বিভূতি পাল। তাঁর ক্ষোভ, ‘কত বছর ধরে যাতায়াত করছি এই সেতু দিয়ে। এখন সেতুটি একেবারে জরাজীর্ণ ও কঙ্কাল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের ঘুম আজও ভাঙেনি। তাই সংস্কারও হয়নি। আদপেও কি কোনওদিন ঘুম ভাঙবে? জানি না।’ প্রায় একই বক্তব্য এলাকাবাসী দের।