নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—বাড়ির কাছে নিজ জেলায় বদলির দাবিতে মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলো ভিন জেলার প্রাথমিক শিক্ষিকারা ।
প্রাথমিক শিক্ষকদের অভিযোগ ২০২১ সালে তাদের জেলায় কোন ভেকেন্সি না থাকায় তাদের প্রত্যেককে বাধ্য হয়ে অন্য জেলায় কাউন্সিলিং এর জন্য আবেদন করে। মালদা জেলায় যোগদান করে।
মালদা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ২০২১ সালে যোগদানকারী ভিন জেলার প্রাথমিক শিক্ষকেরা সঙ্গবদ্ধভাবে এই দাবি জানিয়েছেন।
এই শিক্ষকদের অভিযোগ তারা বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ থেকে ৯০০ কিমি বা তার বেশি বাড়ি থেকে দূরে কাউন্সিলিং এ পাঠানো হয়েছিলো। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় বাধ্য হয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে সেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করতে হয়। এবং নিজের জেলা থেকে বহুদূরে মালদা সহ বিভিন্ন জেলায় যোগদান করতে হয়।
মালদা জেলা সহ গোটা রাজ্যে এই ধরনের প্রায় ৩০০০ থেকে ৪ হাজার জন অভাগা শিক্ষক-শিক্ষিকা গন পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ ভুঁইয়ে পড়ে রইলাম। সর্বোপরি বাড়ি থেকে এত দূরে কর্মস্থল হওয়ায় যাতায়াতের ফলে তারা যেমন শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি পরিবার থেকে দূরে থাকার ফলে মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ । পরিবারের সুখের মুহূর্ত তো দূরের কথা বিপদের সময়েও পাশে দাঁড়াতে পারছে না এই শিক্ষকেরা।
মালদা জেলায় এ ধরনের শতাধিক প্রাথমিক শিক্ষক ছোট ছোট সন্তানেরা তাদের পরম প্রিয় বাবা মায়েদের ছেড়েই বড় হচ্ছে। বৃদ্ধ বাবা মায়েরা তাদের সন্তান সন্ততিদেরছেড়েই কষ্টে দিন যাপন করছেন। এই শেষ বয়সে তাদের সন্তান সান্নিধ্যের প্রয়োজন রয়েছে।
জেলার এই প্রাথমিক শিক্ষকদের অভিযোগ এরূপ অবস্থায় বিকাশ ভবন এর নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে একই কর্মস্থলে সর্বনিম্ন পাঁচ বছর কার্যসম্পাদন না করলে কোনরকম বদলি সুযোগ পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা যে সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হই তখন বদলির সময়সীমা ছিল দু’বছর। বর্তমানে আমরা সকলেই এই দু বছরের সময়সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি। তাছাড়া উৎস শ্রী মাধ্যমে সকলের বদলির সুযোগ পাবো তা সুনিশ্চিত নয় । উক্ত সমস্যাগুলি সংসদ সভাপতির অনুপস্থিতিতে ডিআই এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের নিকট কয়েকটি আবেদন জানায়েছেন বঞ্চিত শিক্ষকেরা।
বীরভূমের প্রাথমিক শিক্ষিকা সংগীতা মন্ডল জানিয়েছেন ” যত দ্রুত সম্ভব আমাদেরকে নিজ জেলায় বাড়ির নিকটে স্পেশাল ট্রান্সফার এর মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার আনা ও ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সময়সীমার কোন বাধা যেন না রাখা ও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত এর আওতায় বাইরে রেখে তাদেরকে যেন যত শীঘ্রই সম্ভব নিজ নিজ জেলায় বদলি করা হয়।”
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কোন আধিকারিক কোন বক্তব্য দিতে চাননি।
==============================