বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাঁকুড়া শহরের পশ্চিম সানাবাদের বাসিন্দা সঞ্চিতা ভট্টাচার্য এবং সুচিস্মিতা গোস্বামী দুই বোন মিলে বাঁকুড়ার লোকপুরে চা আর চিংড়ির চপ বিক্রি করছেন প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি ছেড়ে এসে। হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন, অত্যধিক ওয়ার্ক লোড এবং মেন্টাল প্রেসারের জন্যই ব্যাংকের চাকরি ছাড়েন সুচিস্মিতা গোস্বামী। সাম্প্রতিক সামাজিক মাধ্যমে একটি ব্যাংক কর্মচারীর দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওটি স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয়, ঠিক কতটা মানসিক চাপ এবং কাজের চাপ থাকে কিছু কিছু প্রাইভেট কোম্পানিতে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আজ চায়ের দোকান! এ কোনও সাধারণ চায়ের দোকান নয়। এই চায়ের দোকানে চা ছাড়াও পাওয়া যায় ড্র্যাগন চিকেন, চিকেন নাগেট এবং বাগদা চিংড়ির চপ। মাত্র ১০ দিন হল চাকরি ছেড়ে এসে এই দোকান খুলেছেন দুই বোন মিলে। বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে “আড্ডা” নামের এই টি স্টলটি। বিশেষভাবে তৈরি বাগদা চিংড়ি চপের মূল্য 25 টাকা। বাঁকুড়া শহরে বেশ দুর্লভ এই বাগদা চিংড়ির চপ। পুরো কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁদের স্বামীরা। সুচিস্মিতা গোস্বামী জানান “প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিতে প্রচন্ড মানসিক চাপ এবং কাজের প্রেসার থাকে। সেই কারণেই চাকরি ছেড়ে এসে স্বনির্ভরতার পথ ধরতে এই চায়ের দোকান খুলেছি।”
আড্ডার স্পেশাল হল বাগদা চিংড়ির চপ। বিভিন্ন মসলা সহযোগে পুর বানিয়ে একটি বাগদা চিংড়ি ভেতরে ঢুকিয়ে সেটাকে ডাবল ফ্রাই করলেই রেডি এই বিশেষ চিংড়ির চপ এবং এই চপ খেতে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে ভিড় জমাচ্ছেন চপ প্রেমীরা। সামাজিক মাধ্যমের হাত ধরে আড্ডার জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিন দিন। চাকরি জীবনের কথা বললে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের কাজ ছেড়ে সনির্ভর হওয়ায় স্বপ্ন বুনে চলেছেন কিন্তু সাহস অর্থাৎ যেটাকে ইংরেজিতে “লিপ ওফ্ ফেইথ” সেটা নিতে পারছেন না। কিন্তু সেই সাহসটা দেখতে পেরেছেন এই দুই বোন। ছোট বোন সঞ্চিতা ভট্টাচার্য্য জানান “একটু সাহস দেখিয়ে যদি নিজের স্বপ্নকে তাড়া করা যায় তাহলে হয়ত ভালো কিছু হতে পারে। যদি কোনো আইডিয়া মাথায় থাকে তাহলে সেটাকে কার্যকরী করতে লেগে পড়তে হবে।
বাঁকুড়া থেকে আবদুল হাই এর বিশেষ প্রতিবেদন