মহিলা পরিচালিত নাট্যগোষ্ঠী সেঁজুতির ব্যবস্থাপনায় একক নাটক “মা মুঝে টেগর বানা দে” মঞ্চস্থ হলো দুবরাজপুর পৌরসভার হল ঘরে।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- শাঁওলী মিত্রের ঐতিহ‍্য ও পরম্পরা আছে বাংলার নাট‍্যজগতে। তবে কেন পিছিয়ে থাকবেন বীরভূম তথা দুবরাজপুরের নারীরাও? তাই আজ বৈকালে দুবরাজপুরে মহিলা পরিচালিত নাট্যগোষ্ঠী সেঁজুতির ব্যবস্থাপনায় একক নাটক “মা মুঝে টেগর বানা দে” মঞ্চস্থ হলো দুবরাজপুর পৌরসভার হল ঘরে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে আজকের নাট্যানুষ্ঠানের সূচনা করেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে ও দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। এদিন সুদূর জম্মু থেকে নাটক করতে আসেন ভারতের বিশিষ্ট নাট্যকার লাকি গুপ্তা। আজ ১২৪৪ তম নাটকটি মঞ্চস্থ হয় দুবরাজপুর পৌরসভার সভাকক্ষে। এদিন সেঁজুতি নাট্য সংস্থার পক্ষ থেকে নাট্যশিল্পী লাকি গুপ্তাকে উত্তরীয় পরিয়ে ও মেমেন্টো দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। “মা মুঝে টেগোর বানা দে” নাটকটি হিন্দি ভাষায় পরিবেশিত হয়। অবশ্য এই নাটকটি শিক্ষামূলক। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইলের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। কবিতা লেখা, বই পড়া থেকে বিরত রয়েছে। কিন্তু এই নাটকের মধ্যে লেখা পড়া করে একটি ছেলের টেগোর হওয়ার স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। নাট্যশিল্পী লাকি গুপ্তার অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের। এদিন নাটক দেখতে হাজির ছিলেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে, দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, দুবরাজপুর পৌরসভার নির্বাহী আধিকারিক দেবাশিষ পাত্র, সেঁজুতি নাট্য গোষ্ঠীর সম্পাদিকা সুমনা চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা আইনজীবি স্বরূপ আচার্য্য, বিশিষ্ট শিক্ষক রামতনু নায়ক, অরিন্দম চ্যাটার্জি সহ নাট্যপ্রেমী মানুষজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *