মেছেদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:– স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর দীর্ঘ বছর ধরে নিয়মনীতি মেনে মূখার্জী পরিবারের গনেশ পূজো হয়ে আসছে গনেশ চতুর্থিতে। শুধু বাড়ির মহিলারাই আয়োজন করে পূজোর। এক সময় মাটির তৈরি ছোট মূর্তি পূজিত হয়ে আসে, গত দুই বছর ধরে রুপার তৈরি গনেশ মূর্তি পূজো হয় পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদার মুখার্জি পরিবারের গনেশ পূজোয়। নানান নৈবেদ্য সহ ঘি এর তৈরি লাড্ডু, মোদক ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় পূজোয়। মুখার্জী পরিবারের কর্তী পূর্ণিমা মুখার্জী তাঁর দুই মেয়ে ও দুই নাতনিকে নিয়ে গনেশ পূজোর আয়োজন শুরু করে বেশ কয়েক বছর আগে। বাড়ির পূজো হলেও তা যেন সার্বজনীন রুপ নিয়েছে। পাশ্ববর্তী বহু মানুষ আসেন এই পূজোয়। এক সময় কলকাতায় থাকতেন পূর্নীমা মুখার্জী, চাকরি সূত্রে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পরিবার নিয়ে, সেখান থেকেই বৃহৎ আকারে পূজো শুরু হয়, রিটার্ড হওয়ার পর মেছেদায় ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকতে শুরু করেছেন। সেখানেও পাশাপাশি প্রতিবেশিদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পূজোর আয়োজন করেন। শুধু তাই নয় দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই পূজোয়, বাড়ির পূজো হলেও বহু মানুষ আনন্দ উপভোগ করেন এই গনেশ পূজোয়। আগত নিমন্ত্রিত সহ দর্শনার্থীদের বসিয়ে প্রসাদ খাওয়ান তিনি। আর তাতেই পূন্য অর্জন করে মুখার্জী পরিবার। এমন কি পর পর দুই দিন ধরেই বড় ধরনের অনুষ্ঠান হয় এই গনেশ পূজোয়।