নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- “আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ লেগেছে।” আর শরত মানেই মা এর আগমন, দুর্গা পুজো। কাশফুল আর পেঁজা তুলোর মতো মেঘ যেন জানান দিচ্ছে মা আসছেন। হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন, তারপর আপামর বাঙালি মেতে উঠবে মা এর আগমনে, মেতে উঠবে আনন্দ উৎসবে, মেতে উঠবে নতুন নতুন সাজ পোশাকে। বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ এর মধ্যে সব থেকে বড় পার্বণ হিসাবে দুর্গা পুজোর নাম-ই প্রথম সারিতে। পুজোর আগমনী ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে চূড়ান্ত বাস্ততা চোখে পড়ল কুমোরটুলিতে। নাওয়া খাওয়া ভুলে ইতিমধ্যে কুমোরটুলির প্রায় সকল প্রতিমা শিল্পীদের ব্যাস্ততা এখন তুঙ্গে। দেবী দূর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে দিনরাত চলছে কাজ। ইতিমধ্যেই প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জর কাজ। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের মুজনাই এলাকার মৃৎশিল্পীরা শিল্পীরা আশাবাদী, এবার তাঁরা ভালো দামের প্রতিমার বরাত পাবেন। জানা গিয়েছে, ফালাকাটা ব্লকের অন্যান্য জায়গায় যে সব মৃৎশিল্পী রয়েছেন, তাঁদের চূড়ান্ত বাস্ততা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এবার অর্ডার আসছে ভালোই। মৃৎশিল্পী দিলীপ পাল জানান, প্রতিমা গড়তে যত খরচ হয়, সেই তুলনায় তাঁরা লাভ করতে পারেন না। যেভাবে সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী প্রতিমার দাম বাড়েনি।