পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ – পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত জামালপুর থানার কুলীনগ্রাম। কুলীনগ্রাম শ্রীচৈতন্য দেবের পদধূলি ধন্য বৈষ্ণব তীর্থস্থান হিসেবেই দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে। এই কুলীনগ্রামই এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিতে চলেছে। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ কুলীনগ্রামের বিভিন্ন মন্দির ও বৈষ্ণব মঠ ঘুরে দেখার পর জানিয়েছেন পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে। মন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি জামালপুর ব্লক সহ কুলীনগ্রামের বাসিন্দারা।
কুলীন গ্রাম জামালপুর ব্লকের আবুঝহাটি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বহু পুরোনো জনপদ। পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কুলীনগ্রামেই মালাধর বসু জন্মগ্রহণ করেন।
সকলেরই হয়তো কম বেশি জানা আছে,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের রচয়িতা মালাধর বসুর নাম। শ্রীচৈতন্য দেবের আবির্ভাবের কিছু কাল আগে পূর্ব বর্ধমানের কুলীনগ্রামের ভূমিপুত্র মালাধর বসু এই কাব্য রচনা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বয়ং শ্রীচৈতন্য দেব জামালপুরের কুলীনগ্রামে এসে তিন দিন থাকেন বলে উল্লিখিত রয়েছে চৈতন্যমঙ্গল কাব্যে। তাই কুলীনগ্রাম শ্রীচৈতন্য দেবের পদধূলি ধন্য বৈষ্ণব তীর্থস্থান হিসাবেই দেশ জুড়ে পরিচিতি পেয়ে আসছে আজও।
এহেন ‘কুলীনগ্রাম’ এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিতে চলেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সাথে কুলীনগ্রামে হাজির হয়েছিলেন, জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান সহ অনেকে।