তমলুক, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বাজার ঊর্ধ্বমুখী ধন-সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় পকেটে টান মধ্যবিত্ত বাঙালির। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। বাংলার ঘরে ঘরে ধন-সম্পদের দেবীর আরাধনা হয়। তার আগেই বিভিন্ন বাজারে বাজারে জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফুল ফল থেকে শাকসবজি সবেরই দাম বেশি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। অন্য দিকে বাজারে জিনিসপত্র দাম বেশি থাকায় বিক্রির পরিমাণ কম সমস্যায় পড়েছে বিক্রেতারাও। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ! তাই দুর্গাপূজার পিঠোপিঠি আসে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। আর পরপর উৎসবের মরশুমে বাজারদরে আগুন। বিক্রেতার দের কথায় অক্টোবরে অসময়ে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জেলা জুড়ে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন চাষবাসে। আর এর প্রভাবে দুর্গাপূজার পর কোজাগরী লক্ষ্মী পূজাতেও বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাজারে চড়া। বিশেষ করে ফুলের দাম। অন্যান্য বছর যখন এ সময় গাদা রজনীগন্ধা গোলাপ সহ প্রকৃতি ফুলের দাম অনেক টাই কম থাকে। এবার সেই ফুলেরই দাম বিগত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বীগুনের বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সহ বিভিন্ন বাজারে ফুলের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের দাম। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় অপরিহার্য নারকেল নাড়ু। তাই বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে নারকেল। এক একটি নারকেলের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সময় যেখানে নারকেলের দাম ২০ থেকে ৩৫ টাকা থাকে। সেখানে লক্ষ্মী পূজার আগে এই দাম বৃদ্ধি নাজেহাল করেছে সাধারণ মানুষকে। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিস পত্রের দাম বেশি হওয়ায়, ধন-সমৃদ্ধির দেবীর আরাধনায় পকেটে টান পড়েছে মধ্যবিত্ত বাঙালিদের।