নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ- জৈব্য পদ্ধতিতে চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন বালুরঘাট ব্লকের গঙ্গাসাগর এলাকার চাষিরা। পোকামাকড় রোধ তো বটেই, ফলন বৃদ্ধি, কম খরচ এবং জমির উর্বরতা বাড়ছে এই চাষে। এমন চাষের মাধ্যমে এই এলাকাটি জৈব গ্রামের তকমা পেয়েছে।
বালুরঘাট শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গঙ্গাসাগর গ্রামটি। ধান, পাট, আখ তো বটেই, সবজি চাষেও এই গ্রাম খ্যাত। ওই এলাকার উৎপাদিত সবজি বালুরঘাট শহরের দৈনন্দিন বাজার নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা নেয়। সেখানকার চাষিরা বছর কয়েক ধরেই জৈব্য সার প্রয়োগ ও পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে আসছেন। কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ওই গ্রাম তকমা পেয়েছে জৈব্য গ্রাম হিসেবে।
গ্রামবাসী সুমন সরকার, সিমাই প্রধান জানান, জৈব্য সার প্রয়োগ করার ফলে ফসল ও গাছে পোকা লাগে না। খরচও অনেকটা কম হয়। জমির উর্বরতা বাড়ে। তবে এখন বাড়িতে গবাদি পশুপালন করার প্রবনতা কমে গিয়েছে। ফলে দোকানে যেটুকু জৈব্য সার পাচ্ছেন তা দিয়ে চাষাবাদ করছে। চাষিদের কথায়, বাধ্য হয়ে কখনো সামান্য পরিমানে রাসায়নিক সার মেশাতে হচ্ছে। এই চাষাবাদ নিয়ে ২-৩ মাস অন্তর আমাদের নিয়ে বৈঠক করছেন কৃষি আধিকারিকরা। তবে অন্য প্রক্রিয়ায় জৈব্য সার কিভাবে নিজেরা তৈরি করতে পারব তার প্রশিক্ষণ চাইছি আমরা।
কৃষি আধিকারিক প্রনব কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন গঙ্গাসাগর গ্রামে চাষীদের কে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে আমাদের লক্ষ্য গোটা গ্রামটিকে অর্গানিক গ্রাম হিসেবে পরিণত করা।
Home রাজ্য দঃ দিনাজপুর বালুরঘাট ব্লকের গঙ্গাসাগর এলাকার চাষিরা জৈব্য পদ্ধতিতে চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন।