আবদুল হাই,বাঁকুড়া :- শান্তাশ্রম হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অনিক হাটি। আর পাঁচটা ছাত্রদের মতই পড়াশোনা করতে ভালোবাসে সে। তবে শুধুমাত্র পড়াশোনাতেই আটকে নেই ১৫ বছরের কিশোর অনিক হাটি। এই অল্প বয়সে কার্তিক ঠাকুর গড়ে তাক লাগিয়ে দিল ছেলেটি। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, মূর্তি গড়া কোথাও শেখেনি সে। অনিকের বাবা আশিষ হাটি পেশায় একজন মৃৎশিল্পী। বাবার হাতের কাজ দেখে দেখে মূর্তি বানানোর রক্ত করেছে বছর ১৫ অনিক হাটি। আসন্ন কার্তিক পুজো, তার আগে এই ছাত্রের বানানো কার্তিক ঠাকুর দেখে অবাক বাঁকুড়াবাসি।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের করিশুন্ডা গ্ৰামের বাসিন্দা ১৫ বছরের অনিক হাটি। বাবার ঠাকুর তৈরি করা দেখে নিজেই তৈরি করলো কার্তিক ঠাকুর।বাবা আশিষ হাটি একজন বড় মাপের মৃতশিল্পী। কয়েক বছর আগে কুমারটুলিতে ঠাকুর তৈরির কাজ করতেন। বর্তমানে ওখান থেকে চলে এসে বাড়িতে দূর্গা ঠাকুর,কালি ঠাকুর সহ অন্যান্য মূর্তি তৈরি করেন। বাবা যখন মূর্তি তৈরি করতেন ছেলে পাশে বসে দেখত।বাবার কাজ দেখতে দেখতে নিজে তৈরী করে ফেললো কার্তিক ঠাকুর।দেখে কেউ বলতে পারবে না যে ১৫ বছরের এক বালক এই মূর্তি তৈরি করেছে।
অনেকের ইচ্ছে রয়েছে বড় হয়ে সরকারি চাকরি করবে সে। সেই জন্য পড়াশোনা নিয়ে এগোতে চায় অনিক। তবে মূর্তি বানাতে ভালোবাসে সে, তাই চাকরি-বাকরি পেলেও অবসর সময়ে মূর্তি বানাবে বলে জানিয়েছে বছর ১৫ এর অনিক। যদিও তার বাবা আশীষ হাটি চাননা যে ছেলে মূর্তি তৈরী করুক। তিনি জানান ” আমি ব্যাক্তিগতভাবে চাই ছেলে পড়াশোনার পর সরকারি চাকরি পাক। তবে ও যদি চায় শিল্পচর্চা করতে পারে।”
দেখে দেখে মূর্তি বানানোর মত কঠিন কাজ শিখে ফেলেন কিশোর অনিক। শুধু মাত্র শিখেই শেষ নয়। বানিয়ে ফেলেছেন একটি মূর্তি। যে বয়সে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা এবং পড়াশোনায় নিমজ্জিত থাকে , সেই বয়সে একটি রোজকারের রাস্তা খুঁজে পেল অনিক হাটি।