শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী মাতা আগমেশ্বরীর পুজোর প্রচলন প্রায় ৫০০ বছর ধরে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদিয়ার শান্তিপুরের অদ্বৈতাচার্যের উত্তরপুরুষ মথুরেশ গোস্বামী শাক্ত- বৈষ্ণব বিরোধ মেটাতে কৃষ্ণানন্দের প্রপৌত্র সর্বভৌম আগমবাগীশের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। এতে নবদ্বীপের তৎকালীন শাক্ত সমাজ সর্বভৌমকে একঘরে করে সমাজচ্যূত করায় মথুরেশ তাঁর মেয়ে জামাইকে শান্তিপুরে নিয়ে আসেন। এর পর সর্বভৌম শান্তিপুরের বড়গোস্বামীবাড়ির অদূরে পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করে সেখানে কালীপুজোর প্রচলন করেন। যা শান্তিপুরের আগমেশ্বরী মাতা নামে এখন বিশ্ব পরিচিত। মাতা আগমেশ্বরীর পুজোর আরাধনায় এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চক্ষুদান পর্ব শেষ হতেই শুরু হয় দেবী আরাধনা, আর যে পুরুষ চক্ষুদান করেন সে আর পেছনে ফিরে তাকান না, এই রীতি চলে আসছে প্রায় ৫০০ বছর ধরে। তবে প্রজন্ম পরিবর্তন হলেও চিরাচরিত নিয়মে এক ফোটাও ঘাটতি পরেনি, কারণ মাতা আগমেশ্বরী যে সদা সর্বদায় জাগ্রত। যদিও মনস্কামনা পূরণের জন্য শুধু শান্তিপুর নয় গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন দেবী আগমেশ্বরী মাতার কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *