মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী হাসপাতাল মোড়ে বহু পুরনো বুড়ী কালী মায়ের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কালীপুজো উৎসব কমিটি।এবার ৭৯ তম বর্ষে ব্যাপক ধুমধাম করে ৮দিন ব্যাপী মায়ের পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।সম্প্রতি দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে বুড়ি মায়ের বিশেষ পুজো দেওয়া হয়।ওই দিন পুজোর রাতে প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টি পাঁঠা বলি পড়ে।পুজো কমিটির বলেন মায়ের মহিমার আকর্ষণে দূর দূরান্ত থেকে অগনিত ভক্তরা মায়ের দর্শন লাভের জন্য ছুটে আসছেন।সোমবার সন্ধ্যায় বিশেষ শোভাযাত্রা সহকারে প্রায় ২০ হাজারের বেশি ভক্তের সমাগমে মাকে স্থানীয় পুকুরে নিরঞ্জন করা হয়।ঢাক ঢোল টগর,বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের,মুখোশ নাচের মধ্যে দিয়ে সোমবার বিকেলে মায়ের বিসর্জনের সবাই এত শুরু হয় সেই শোভাযাত্রা হসপিটাল মোড় থেকে বুলবুলচন্ডী বাজার পরিক্রমা করে কেন্দুয়া এলাকায় মায়ের বিসর্জন পর্ব শেষ হয়। বিসর্জন দেখতে ভক্তদের ঢল নামে চোখে পড়ার মত। এই বিসর্জনে সব দিকে করা করা নজরদারি ছিল পুলিশ প্রশাসনের।
পূজোর বিষয় নিয়ে প্রসঙ্গত,সময়টা ১৯৪৪ সাল।সেই সময় বাংলাদেশ থেকে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর টাঙ্গন নদীতে বুড়ি মায়ের কাঠামো ভেসে আসে। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্থানীয় স্বর্গীয় ননী গোপাল সাহা এবং ভোলানাথ সাহারা পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন।তারপর থেকে মায়ের মহিমার কথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।বেশ কয়েক বছর আগে ভক্তদের দানে মায়ের জন্য নবনির্মিত মন্দির করা হয়েছে।সেখানে এবারও মা নিষ্ঠা সহকারে পূজিত হয়ে আসছে।শুধু তাই নয়,মায়ের পুজো প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার করা হয়।অমাবস্যা তিথিতে মায়ের বিশেষ পুজো দিতে স্থানীয় বহু ভক্তরা ভিড় করে।বর্তমানে এখন পুজোর দায়িত্বে রয়েছে শ্রী শ্রী বুড়ি কালীপুজো উৎসব কমিটি হাতে রয়েছে।
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য প্রতীক ঘোষ বলেন ১৯ এর দশক থেকে মহা আড়ম্বরে বাংলাদেশে চাঁপাই নবাবগঞ্জে শুরু হয় মাতৃআরাধনা, মায়ের মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে, অগণিত ভক্ত মায়ের চরণে নিজেদের সুখ, সমৃদ্ধি, পুণ্য লাভের আশায় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।
সর্বজনীনভাবে অবলীলায় মাতৃছায়ায় হাজার হাজার ভক্ত সমাগম শুরু হয়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আজও নিজেদের মনবাসনা লাভে অগণিত ভক্ত ছুটে আসেন মঙ্গলময়ী মায়ের কাছে।
৭৯ তম অধিবর্ষ পেরিয়ে মহাআড়ম্বরে মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠেন অজস্র ভক্ত।
Leave a Reply