পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- লোকশিল্পের প্রসারে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছরের মতো এবছরও আজ থেকে জেলায় শুরু হলো ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠান। জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে আজ, শুক্রবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে। শতাধিক লোকশিল্পী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। দীর্ঘদিন ধরে লোকশিল্পের প্রসারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১১ হাজার ৭৯৭জন শিল্পী প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পান। ভাতা বাবদ প্রত্যেক মাসে সরকারের খরচ হয় ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। ২০১৪ সাল থেকেই এই ভাতার টাকা পেয়ে আসছেন লোকশিল্পীরা। এছাড়াও বছরভর বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। সেইসব অনুষ্ঠানেও ডাক পান লোকশিল্পীরা। অনুষ্ঠান পিছু হাজার টাকা করে পান শিল্পীরা। জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানে ছৌ, রায়বেশে, আদিবাসী নৃত্য থেকে ঝুমুর, বাউল গান শুনতে পাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে আসা শিল্পীদেরও অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলার হস্ত শিল্পীরা তাঁদের বিভিন্ন পশরা সাজিয়ে বসেছেন। রয়েছে পট চিত্রের স্টল , মাদুরের স্টল । কারার ওই লৌহ কপাট প্রেক্ষাপটে রাজ্যের বিভিন্ন কারাগার এর চিত্র এবং আন্দামানের সেলুলার জেল এর চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এদিনের মেলাতে ছিল মানুষের ঢল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছোনৃত্য পরিবেশন করেন লোক শিল্পীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক খুরশেদ আলি কাদেরি , পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার , জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভারানী মাইতি , জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, শান্তি টুডু, শ্যাম পাত্র , আবু কালাম বক্স, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা কৌশিক নন্দী , জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক বরুণ মন্ডল।
জেলাশাসক জানান যে এধরনের অনুষ্ঠানের ফলে একদিকে যেমন আঞ্চলিক সংস্কৃতির প্রসার ও প্রচার হচ্ছে, তেমনই লোকশিল্পীদের রুটি-রোজগার বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। জেলার লোকশিল্পীদের কথায়, কীভাবে আমাদের ভালো করা যায়, সেই চেষ্টাই করছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিদির এই ইচ্ছেটাই আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, এত সম্মান আগে আমরা কখনও পাইনি।এছাড়াও, তিনদিনের অনুষ্ঠানে স্বসহায়ক দলগুলির তৈরি সামগ্রীর প্রদর্শনী ও বিপণনের ব্যবস্থা থাকছে। বিভিন্ন দপ্তরের স্টলও থাকছে।