কৃষ্ণনগরে গিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত স্থানীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

0
110

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  কৃষ্ণনগর গিয়ে আগামী ২৪ এ মহুয়া মৈত্রকে হারানোর গ্যারান্টি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, চোরেদের রানী কয়লা ভাইপো কে জেলে ভরতে কলকাতা সমাবেশে আহ্বান সকলকে।কৃষ্ণনগরে গিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত স্থানীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব শঙ্কু দেব পান্ডা, চিকিৎসক সংগঠনের ডঃ অর্চনা মজুমদার, নদীয়া উত্তর জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস দক্ষিণ সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী সহ বিধায়ক অসীম বিশ্বাস বঙ্কিম ঘোষ এবং বিজেপির নদিয়া জেলা কমিটি কৃষাণ ছাত্র মহিলা যুব শ্রমিক মোর্চার নেতৃবৃন্দ।

তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি শুধু ওকে একবার টিকিট দিক, তার পর দেখাচ্ছি কত ভোটে হারাব।
আজ নদীয়ার কৃষ্ণনগরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জ্বালাময়ী ভাষণ দেন টানা আধ ঘন্টা।
তিনি বলেন শিক্ষা গেছে জেলে খাদ্যও ঢুকেছে জেলে এবার স্বাস্থ্য যাবে। তিনি বলেন এমএসএমই মিলিয়ে পিএম কেয়ারের টাকা চুরি করেছে করোনার সময়। বাচ্চাদের মিড ডে মিলের ন’ কোটি ৫৬ লক্ষ কেজি চাল উধাও করেছে রাজ্য সরকার।
এর আগেও বিরোধী দলনেতা ছিল সিপিএম কংগ্রেসের তবে সেক্ষেত্রে setting ছিল কিন্তু বর্তমানে তা সম্ভব নয় তাই প্রকাশ্যে আসবেই।
এন আর সি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি, মুসলিম তাড়ায় না, তাড়া চোর গুন্ডা মস্তান বদমাইশ । আসলে ওই ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট নিতে প্রতিবারই ভয় দেখায় তৃণমূল। বিজেপি শাসিত কোন রাজ্যে মুসলিমদের তাড়ানো হয়েছে তা জানাক তৃণমূল।
আগামীর কলকাতার বিজেপি সমাবেশে জনজোয়ার করতে আমন্ত্রণ জানান, সিভিক ভলেন্টিয়ার এ রাজ্যে যা বেতন পায় তার ডবল অন্যান্য রাজ্যে দেওয়া হয়। আইসিডিএস কর্মীরা পান মাত্র চার হাজার প্রাণী মিত্ররা দেড় হাজার, সাংবাদিকরা বছরে একবার দুই হাজার এসবই অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সামান্য। তাই সমাজের বঞ্চিত শোষিত নিপীড়িত বিভিন্ন মানুষজনদের সেদিন উপস্থিত থাকার জরুরী।
পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ভারতের যে প্রান্তেই দুর্ঘটনা ঘটে শুনি পশ্চিমবঙ্গের কোন না কোন জেলার মানুষ তিনি যার অধিকাংশ নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ। বাম আমলে ৫ লক্ষ কুড়ি হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে তৃণমূল জমানায় পঞ্চাশ লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে।

নদীয়া প্রসঙ্গে, বলেন, নদীয়া আর্সেনিক প্রবণ এলাকা হর ঘর নল মে জল, জল জীবন মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৮ হাজার কোটি টাকা দিলেও আর্সেনিকমুক্ত কল বসেনি এ রাজ্যে।

আসন্ন ২০২৪ সালে সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন ‘মা কালীকে গালাগালি করেছে, ১ বছরের মধ্য মা ফিনিশ করে দিয়েছে। ও ভ্যানিশ। বলছে, মহুয়া বাইরে বেশি বলবে। আরে যত বলবে ভোট বাড়বে। কত ভোটে হারাবো? মমতা ব্যানার্জি তুমি মহুয়াকে একবার টিকিট দেও। আমাদের মণ্ডল সভাপতিরা আউট করে দেবে ওকে। নাস্তিকরা বলে না, আমাদের ঠাকুরকে না কি দেখতে পাওয়া যায় না? মা কালী গাঁজা খায়, মদ খায়, সিগারেট খায়? ওর জন্য বেশি খরচ করার দরকার নেই। যে প্রশ্ন করার জন্য বিদেশের লোকের থেকে ব্যাগ, জুতা, ছাতা ঘুষ নেয়, এই রকম নিকৃষ্ট একটা MP কৃষ্ণনগরের মতো একটা বর্ধিষ্ণু এলাকায় ভাবতে খারাপ লাগে’।

বৃহস্পতিবারই প্রথম প্রকাশ্যে মহুয়ার পাশে দাঁড়ান মমতা। বলেন,‘মহুয়াকে ওরা সরিয়ে দিতে চাইছে। আরে এতে তো ওর পপুলারিটি আরও বেড়ে যাবে। ও এতদিন ভিতরে বলত, এবার বাইরে বলবে। আর মাত্র ৩ মাস বাকি। তখনই এসব করছে। ওরা মূর্খ’।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here