স্মরণে, কিংবদন্তি ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত দিলীপ রায়।

ভূমিকা— দিলীপ রায় বাংলা সিনেমার একজন কিংবদন্তি ভারতীয় বাঙালী চলচ্চিত্র অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি ছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক। উত্তম কুমার সমসাময়িক স্বর্ণ যুগের একজন শিল্পী তিনি। বহু  বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেআছেন তিনি। তিনি ১৯৩১ সালের ১৭ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের চট্টগ্রাম জেলায় (বর্তমানে বাংলাদেশে) জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের নেয়ামতপুরে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন।  ১৯৫৪ সালে, তিনি ছবি বিশ্বাস অভিনীত সতী বেহুলা দিয়ে অভিনয় শুরু করেন।  তিনি অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ক্ষুধিতা পাশান (১৯৬০), আসমান মহল (১৯৬৫), আপানজান (১৯৬৮), এবং তুফান (১৯৮৯) এর মতো অন্যান্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।  সৌমিত্র চ্যাটার্জি ও উত্তম কুমার অভিনীত দেবদাস (১৯৭৯) দিয়ে পরিচালক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ।  তিনি অমৃতা কুম্ভের সন্ধ্যায় (১৯৮২) এবং নীলকন্ঠ (১৯৮৫) এর মতো সিনেমাও পরিচালনা করেছিলেন।

তাঁর অভিনিত ছবি সমূহ—

তাঁর অভিনিত উল্লেখযোগ্য ছবি গুলি হলো মনের মানুষ, হিমঘর, সংঘর্ষ, অটোগ্রাফ , মন মানে না ,  এক মুঠো ছবি , শুভদৃষ্টি, ফিরিয়ে দাও, নটী বিনোদিনী, আব্বাজান, রক্তের স্বাদ, তোমার রক্তে আমার সোহাগ, মায়া মমতা, শ্বেত পাথরের থালা, ইন্দ্রজিৎ, অভাগিনী, কাগজের নৌকা, নবাব, দেবতা, গরমিল, হীরক জয়ন্তী, তুফান, ওরা চারজন, দেবিকা, তিন পুরুষ, মোহনার দিকে, সূর্য তৃষ্ণা, অভিনয় নয়, অশ্লীলতার দায়ে, দুই পুরুষ, রঙের সাহেব, ধনরাজ তামাং, সেই চোখ , অগ্নীশ্বর, রোদনভরা বসন্ত, আমি সিরাজের বেগম, আপনজন , আসমান মহল, আরোহী , অভয়া ও শ্রীকান্ত, সরি ম্যাডাম, ভগিনী নিবেদিতা, কঠিন মায়া, ঝিন্দের বন্দী, ক্ষুধিত পাষাণ, পরিবার, ক্ষণিকের অতিথি,  গড় নসিমপুর, প্রস্তর স্বাক্ষর, অজানা শপথ, জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার, রাজদ্রোহী প্রভৃতি।

তাঁর পরিচালক হিসেবে—-

গরমিল (১৯৯০), নীলকন্ঠ (১৯৮৫), অমৃত কুম্ভের সন্ধানে (১৯৮২), দেবদাস (১৯৭৯)।

মৃত্যু–

স্বর্ণযুগের বিখ্যাত এই অভিনেতা ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *