জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- হাজার বছর পরেও আজও, সারা বিশ্বের মানুষের দরজায় দরজায় এই ঋতু সম্বন্ধীয় আনন্দের স্তবগান ও ক্যারোল গেয়ে বেড়ানো হয়।
129 খ্রিস্টাব্দের আগে থেকেই বড়দিন পালনের জন্য বিশেষভাবে লেখা গানের ঐতিহাসিক রেকর্ড আছে| এই ক্রিসমাস গানগুলি প্রাথমিকভাবে ল্যাটিনে রচিত হয়েছিল, যে গুলোকে স্তবগান বলা হত|
ক্রিসমাস ক্যারোলকে নোয়েলও বলা হয়| ক্রিসমাসের থিমের উপর ভিত্তি করে লেখা গানগুলি, ঐতিহ্যগতভাবে বড়দিনে গাওয়া হয়ে থাকে| ক্রিসমাস ক্যারোল ইউরোপে হাজার বছর আগে প্রথম গাওয়া হয়। সেই সময় এগুলি সাধারণত চার্চের বদলে বাড়িতেই গাওয়া হতো ভ্রমণ গায়ক বা বাউলরা এই ক্যারোল গান গাওয়া শুরু করেন এবং যেখানেই তারা ভ্রমণ করতেন সেখানকার স্থানীয় লোকেদের জন্য গানের কথা পরিবর্তন করতেন| সেইজন্য, কালক্রমে ক্যারোল যা ল্যাটিন ভাষায় ছিল, পরে সারা বিশ্বে ছড়াবার সাথে সাথে অনেক ভাষায় রূপান্তরিত হয়।
ইতিহাস বলছে এই ক্যারোলস জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগে, ‘ওয়েটস’ নামক সরকারি সংকীর্তন গায়করা এই গান গাইতেন, কারণ তারা শুধুমাত্র ক্রিসমাস ইভেই এই গান গাইতেন।
এই ওয়েটসদের, ওয়েটনাইট বা ওয়াচনাইটও বলা হত কারণ, মনে করা হয়ে থাকে যে এরা, সেই সকল মেষপালক যারা মেষ দেখভাল করছিলেন যখন দেবদূতের আগমন হয়েছিল|
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরের ব্যাপটিস্ট চার্চের উদ্যোগে আসাম মোড় থেকে শুরু হয়ে মূল শহরের বিভিন্ন স্থানে নাচে গানে অংশ নিয়ে ক্যারোল উৎসব পালনের সঙ্গে সঙ্গে প্রভু যিশুর আগমনের পূর্বে শহরকে উৎসব মুখরিত করে তুললো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিল্পীরা।