আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ এই মনুষ্য সমাজে হাজারো সমস্যার মধ্যে দিন যাপন কোটি কোটি পরিবারের, সার্চলাইট হয়তো সবের উপর পড়ে না, আবার খবরের শিরোনামেও আসে না সব খবর, আর যে সমস্ত খবর শিরোনামে আসে সেগুলির মধ্যে এমন কিছু খবর থাকে যেগুলো ভীষণ বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদায়ক আর এরকমই একটি খবরের উপরেই সাংবাদিকের ক্যামেরা হয়েছে অন। ঘটনাটি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্ৰামে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্ৰামের ভ্যানচালক রামেশ্বর মাঝি।সংসারের আয় বলতে রেশনের চাল আর লক্ষী ভান্ডারে কয়েকশ টাকা। হতদরিদ্র, দীর্ঘদিন যাবৎ রোগগ্রস্ত রামেশ্বর মাঝি স্ত্রীকে নিয়ে কোনরকমে দিন কাটাই। সামান্য কয়েক কিলো চাল আর কয়েকশো টাকা দিয়ে চলে না সংসার। একদিন ভ্যান না চালালে সংসার যে চলে না।আর নিজেই যখন দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে দু মুঠো ভাত জোগাড় করবে কে ? বাড়িতে যে টুকু ছিল তা চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব শেষ। এই ঘটনার খবর সোনামুখী শহরের সোনামুখী বি জে হাইস্কুলের রীতা সাহা নামে এক শিক্ষিকার কানে আসতেই সাথে সাথে এক মাসের খাদ্যসামগ্ৰী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিছানায় শুয়ে রামেশ্বর মাঝি বলেন ভগবান যেন ওনাকে ভালো রাখেন। আর আমাদের মতো অসহায় গরীব মানুষের পাশে এই ভাবে পাশে দাঁড়ান।