বিজ্ঞপ্তি বা আগাম ঘোষণা ছাড়াই গত দুই দিন ধরে বন্ধ বিএসএনএল কাউন্টার।

0
5

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, ২৭ ডিসেম্বর:- কোনওরকম বিজ্ঞপ্তি বা আগাম ঘোষণা ছাড়াই গত দুই দিন ধরে বন্ধ বিএসএনএল কাউন্টার। যার মাধ্যমে বিএসএনএল গ্রাহকরা টেলিফোন বিল প্রদান সহ যাবতীয় সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিনা নোটিসে কাউন্টার বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সেই গ্রাহকরা। টেলিফোন বিল জমা দিতে এসে তাদের কার্যত ঘুরে যেতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ২৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মীরা এক প্রশিক্ষন শিবিরে ব্যস্ত। তাই গ্রাহক কাউন্টার বন্ধ। কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।

বালুরঘাটের ডাকবাংলো পাড়ায় রয়েছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের দপ্তর। বালুরঘাট হাই স্কুলের পেছনে এই পুরনো দপ্তরে ল্যান্ডলাইন সহ সিম সম্বন্ধিত সমস্ত কাজকর্ম হয়। যার সামনেই রয়েছে একাধিক কাউন্টার। যেখানে গ্রাহকরা যেমন বিভিন্ন পরিষেবা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে পারেন। তেমনি বিভিন্ন রিচার্জও করিয়ে নিতে পারেন এই কাউন্টারগুলো থেকে। অনেকেই পোস্টপেইড ও ল্যান্ডলাইনের বিল জমা দেন কাউন্টারে। এই কাউন্টারে বসেই পরিষেবা দেন দপ্তরের স্থায়ী কর্মীরা। কিন্তু তারা কাউন্টারের সামনে কোনও বিজ্ঞপ্তি না ঝুলিয়েই গিয়েছেন প্রশিক্ষণে। ফলে দুইদিন ধরে বন্ধ কাউন্টারগুলো। বিঘ্নিত হচ্ছে গ্রাহক পরিষেবা।এমনিতেই প্রতিযোগিতার দৌড়ে বিএসএনএল পিছিয়ে। তার মধ্যে এমন আচরণে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা।

গ্রাহক জিষ্ণু নিয়োগীর অভিযোগ, ‘সরকারি নেটওয়ার্কে ভরসা রেখে আমার মতো অনেকেই বিএসএনএল ব্যবহার করে। কিন্তু এভাবে কিছু না জানিয়ে এভাবে কাউন্টার বন্ধ রেখে গ্রাহকদের হয়রান করা হচ্ছে। কর্মীদের দোষ নেই। তাদের প্রশিক্ষণে যেতে বলেছে, তারা গিয়েছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। কোনও দপ্তরই এইভাবে চলতে পারে না।’

লোকাল কেবল অপারেটর তথা টেলিকম ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডার সুরজিৎ দাস বলেন, ‘দপ্তরের স্থায়ী কর্মীরা প্রশিক্ষণে গিয়েছেন। ওই কাউন্টারগুলোতে শুধু বিএসএনএল এর স্থায়ী কর্মীরাই বসতে পারেন। অস্থায়ী কর্মীদের সেখানে নিযুক্তির নিয়ম নেই। তাই কাউন্টার বন্ধ আছে। তবে অফিসের ভেতরে সিম পোর্ট সহ একাধিক কাজ চলছে।’

জুনিয়র টেলিকম অফিসার সৌম্যকান্তি পাল জানান, ‘কর্মীরা রায়গঞ্জে তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে গিয়েছেন। তাই সামনের কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। কর্মীরা না থাকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়াও সম্ভব হয়নি। তবে যাদের প্রশিক্ষণে নাম নেই। তার ভেতরে কাজ সামলাচ্ছেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here